ভারতের কৃষকদের জন্য মাইলফলক সিদ্ধান্ত, রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী

ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো :  বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই রবিবার রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে জোড়া কৃষি বিল। তারপর এই ঘটনাকে ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থার ইতিহাসে মাইলফলক ঘটনা বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়কমূল্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। তা বন্ধ হবে না। এদিন মোদী বলেন, “ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থার ইতিহাসে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। কৃষি ব্যবস্থার আমূল বদল এবং চাষিদের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে এই বিল কার্যকরি ভূমিকা নেবে।”

রবিবার রাজ্যসভায় বিল পেশের পরেই সম্মিলিতভাবে বিরোধিতা করে প্রায় সব বিরোধী দলই। কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট, ডিএমকে, আরজেডি, অকালি দল একসঙ্গে কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। এমনকি বিজেডি ও টিআরএসের মতো দলও এই বিলের বিরোধিতা করে। এই বিক্ষোভের ফলে অধিবেশন বারবার থমকে যায়। নির্ধারিত সময়ের পরেও চলে রাজ্যসভার অধিবেশন। পরে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় জোড়া কৃষি বিল।

কৃষি বিল নিয়ে মোদী বলেন, দশকের পর দশক ধরে কৃষকরা নানান বাধা ও ফড়েদের বেড়াজালে জড়িয়ে রয়েছেন। এবার সেই অবস্থা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের কৃষকদের আয় বাড়ানো-সহ একাধিক বিষয়ে একাধিক কমিশন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেউ তাদের সুপারিশ কার্যকর করেনি। নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মোদী।

যদিও এই কৃষি বিল নিয়ে ঘরে বাইরে চাপ তৈরি হয় সরকারের উপর। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন এনডিএ-র অন্যতম শরিক শিরোমনি আকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। আগামী ২৫ তারিখ সারা দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। বিরোধীদের বক্তব্য, সংখ্যার জোরে কৃষকদের উপর বুলডোজার চালাতে চাইছে। তাদের আরও বক্তব্য, এই বিলের মাধ্যমে আসলে কর্পোরেট লুঠের পরিসরকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।