বর্ধমানের রমনা বাগানে শাবক প্রসব করল চিতাবাঘ, উচ্ছ্বসিত বন দফতর জেলার মুখ্য বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হলেও শেষমেষ ১২ সেপ্টেম্বর কালী সুস্থভাবেই শাবকের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছে। তবে শাবককে একদম কোল ছাড়া করছে না কালী। ফলে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারে কিছু সমস্যা আছে।

ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো  , পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের মিনি জু রমনা বাগানে সন্তানের জন্ম দিল কালী। ধ্রুব আর কালীর সন্তানকে ঘিরে এখন রমনা বাগানে খুশির হাওয়া। বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মা ও শাবককে।

গত বছরের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে রমনা বাগান জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল দুটি চিতাবাঘকে। তার আগে ঢেলে সাজানো হয়েছিল পার্কের পরিকাঠামো। পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে লেপার্ড যুগলের জন্য প্রবেশ পথের একদম সামনেই তৈরি করা হয়েছিল বিশাল এনক্লোজার। গত মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্কও জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও বন্ধই রয়েছে পার্ক। কিন্তু এরই মধ্যে কালী ও ধ্রুবর সন্তান জন্ম হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত পার্কের কর্মীরা।

জেলার মুখ্য বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হলেও শেষমেষ ১২ সেপ্টেম্বর কালী সুস্থভাবেই শাবকের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছে। তবে শাবককে একদম কোল ছাড়া করছে না কালী। ফলে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারে কিছু সমস্যা আছে। দেবাশিস বাবু বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে ছোট্ট শাবকের সঙ্গে মা চিতাবাঘ কালীকে দেখার সুযোগ পাবেন পার্কে বেড়াতে আসা মানুষজন।

অগস্ট মাসের ১২ তারিখ  শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে তিনটি শাবকের জন্ম দেয় এই পার্কের আবাসিক শীলা। শুরুতে তিন শাবকের জন্ম দিয়েছিল শিলা। কিকা–ইকা–রিকা। তাদের দেখতে প্রচুর পর্যটকের ভিড় জমেছিল সাফারি পার্কে। যদিও পরবর্তীতে পায়ে সংক্রমণ হয়ে মারা গিয়েছিল ইকা। এরপর থেকেই বেঙ্গল সাফারিতে বাঘের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে বন দফতর। এখন একের পর এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রজনন ঘটিয়ে ভবিষ্যতে বাঘ প্রজনন সেন্টার হিসেবে বেঙ্গল সাফারি পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই মনে করছেন বনকর্তারা।‌ পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের মিনি জু রমনা বাগানে চিতা বাঘ শাবক প্রসব করায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বন কর্তারা।