সন্তানের টানে উঁচু টাওয়ারের মাথা থেকে নেমে এলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা দীর্ঘক্ষণ ধরে মহিলাকে নামানোর চেষ্টা করেন পুলিশ এবং দমকলের লোকজন। কিন্তু সুফল মেলেনি। শেষে সন্তানকে দেখে নিজেই নেমে আসেন।কিছুটা উপর থেকে মাটিতে ঝাঁপ দেওয়ায় আহতও হন ওই মহিলা

ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো: সেপ্টেম্বর মাসের অন্তিম লকডাউনের দিন কুলটি থানার কুলতোড়াতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদুৎবাহি টাওয়ারে উঠে বসেছিলেন বছর ত্রিশের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। তাকে নামাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। প্রায় ঘন্টা তিনেক প্রচেষ্টার পর তাকে নীচে নামানো সম্ভব হয়। সোমবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে বারাবনি থানার মাজিয়ারা ভাঙা মোড়ের কাছে। রায়মনি হেমব্রম নামে বছর ৩০এর মহিলা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহি টাওয়ারের উপর উঠে পড়েন সকালবেলা।

সাতসকালে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ খবর পাঠায় স্থানীয় বারাবনি থানায়। পুলিশসূত্রে খবর যায় দমকল বিভাগে। এরপর দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

বহু চেষ্টার পর শেষমেশ ওই মহিলা টাওয়ার থেকে নামতে শুরু করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সন্তানকে দেখে মাটির প্রায় ছয়ফুট উপর থেকে আচমকা ঝাঁপ দেন নীচে। উপর থেকে আকস্মিক ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলে মহিলা কিছুটা আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারাবনির ভাসকাজুড়ী গ্রামের বৈদ্যনাথ হেমব্রমের স্ত্রী ২৮ বছরের রায়মনি হেমব্রম দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছেন। বাড়ি থেকে প্রায়ই কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় রায়মণি। এই দম্পতির আড়াই বছরের একটি মেয়েও আছে।

সোমবার ভোরবেলাও একরকম চুপিসারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রায়মণি।কিছু পরে এলাকার লোকজন রায়মণিকে ওই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ টাওয়ারের মাথায় দেখতে পান। এলাকাবাসী মারফত তার স্বামী বৈদ্যনাথের কাছেও স্ত্রীর টাওয়ারে উঠে যাওয়ার খবর পৌঁছোয়। খবর পেয়ে বৈদ্যনাথবাবু তৎক্ষণাৎ মেয়েকে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। বাচ্চাকে দেখার পর ওই মহিলা নিজে থেকেই নীচে নেমে আসে বলে জানা গেছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওই মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল।