
ব্যুরো : তিনি নিজেও যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশ্বস্তমহলে বলেছেনও, সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে যখন সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি হলেন, সেইসময়ই বলেছিলেন, ‘‘আমার হাতে তো মাত্র আট মাস, যতদিন থাকব ভাল কাজ করার চেষ্টা করব।’’ তারপরে সবাই দেখেছে তাঁর হাত ধরে ভারতে গোলাপি বলের দিনরাতের টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে।
পরবর্তীকালে করোনা আবহের মধ্যে ইচ্ছে থাকলেও সেই ভাবে কাজ করতে পারেননি। ছয় মাস কার্যত ঘরবন্দী থাকার পরে এবার আইপিএলের উদ্বোধনের জন্য দুবাই গিয়েছেন। এর মধ্যেই বিসিসিআই-র তরফে জানানো হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সভা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর কারণ হিসেবে করোনা পরিস্থিতি বলা হলেও সেইসময় আইপিএল চলবে। বিনোদনের ক্রিকেট শেষ হবে ১০ নভেম্বর। তারপর সেই ভাবে সময় নেই। মনে করা হচ্ছে বিসিসিআই বার্ষিক সাধারণ সভা হতে হতে ডিসেম্বরে।
বার্ষিক সভাতেই সৌরভদের মেয়াদ বাড়বে কীভাবে সেই নিয়ে আলোচনা করা যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় তাঁদের মেয়াদ এমনিতেই বাড়ল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এমনিতে তামিলনাড়ু সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে নথিভুক্ত। যার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে ফেলতে হয় বোর্ডকে। করোনা আবহের কারণে সেই সভা আপাতত তিন মাস পিছিয়ে যাচ্ছে।
বোর্ডে বিশেষজ্ঞদের মত, ডিসেম্বরের আগে বোর্ডের সাধারণ সভা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ, সৌরভ, জয় শাহরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তাছাড়া আদালতেও ‘কুলিং অফে’র বিষয়টা এখনও বিচারাধীন। বোর্ডের ক্ষমতাসীন প্যানেলের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদনও করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে শুধু সৌরভরা নন, বোর্ডের বার্ষিক সভা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে জাতীয় নির্বাচকদের মেয়াদও তিন মাস করে বেড়ে গেল। যাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, আপাতত আরও তিন মাস তাঁরা থাকবেন।