বাড়িতে ঢুকে বধূকে লক্ষ্য করে গুলি বিষ্ণুপুরে, বিজেপি করাতেই হামলা বলে দাবি পরিবারের

ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডঃ ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। একজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছি আমরা। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  দিনের আলোয় শ্যুটআউট বিষ্ণুপুরে। বাড়িতে ঢুকে একেবারে সামনে থেকে গুলি করা হল এক মহিলাকে। ওই মহিলা বিষ্ণুপুরে বিজেপির বুথ কমিটির হিসেব রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে। মাথার পিছনে গুলি লেগেছে তাঁর। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় পাঠানো হয় তাঁকে। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কিছুক্ষণ আগে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত বছর ৩৮ এর ওই বধূর নাম রাধারানি নস্কর। তাঁর স্বামী অরুণ নস্কর বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি। রাধারানি নিজে বুথ কমিটির হিসেব রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন। অরুণবাবুর অভিযোগ সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রী রাধারানিকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করে। অরুণবাবু বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ঝাঁটা ছুড়ে মারলে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে ওঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথার পিছনে বাঁদিকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওরা।’’

দুষ্কৃতীদের শাসানি ও গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষজন। তাঁরাই ওই বধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই নার্সিংহোম থেকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয় তাঁকে। নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই দুপুরে তাঁর মাথায় অপারেশন করেন ডাক্তাররা। ওই বধূর অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রঘুদেবপুর গ্রামে। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিএসপি জীবনেশ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, এলাকা দখলের জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যখন তখন হামলা চালাচ্ছে। তাঁদের আক্রমনের নিশানা হচ্ছে বাড়ির মহিলারাও।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিষ্ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। মিথ্যে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডঃ ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। একজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছি আমরা। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।’’