সনিয়াকে চিঠি লেখা নেতাদের জায়গা নেই কমিটিতে, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের বড় দায়িত্বে সলমন খুরশিদ

 ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের দু’বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বড় রদবদল হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। নির্বাচনের আগে দলের ইস্তেহার তৈরির জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে সেই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলেই খবর।

দলে রদবদলের জন্য সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখা ২৩ নেতার মধ্যে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বর্ষীয়ান নেতা জিতিন প্রসাদ ও রাজ বব্বর। তাঁদের নতুন কমিটিতে জায়গা হয়নি। অন্যদিকে এভাবে সনিয়াকে চিঠি লেখার নিন্দে করা দুই কংগ্রেস নেতা নির্মল খাতরি ও নসিব পাঠানের জায়গা হয়েছে কমিটিতে। রবিবার সন্ধেবেলা কংগ্রেসের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আনা হয় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়াকে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পান প্রিয়ঙ্কা। তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেন তাঁর আস্থাভাজন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপর, যিনি কয়েক মাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

অবশ্য গত লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে সবথেকে খারাপ ফল হয় কংগ্রেসের। সনিয়া গান্ধী রায়বরেলী ধরে রাখতে পারলেও রাহুল গান্ধীকে অমেঠী কেন্দ্রে হারান বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তাই যোগী রাজ্যে নিজেদের ছবি বদলাতে মরিয়া কংগ্রেস।

আর তাই উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র তথা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সলমন খুরশিদকে দেওয়া হয়েছে বড় দায়িত্ব। আলিগড়ে জন্ম নেওয়া খুরশিদ এর আগে উত্তরপ্রদেশের ফারুক্কাবাদ কেন্দ্র থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে সনিয়া গান্ধীকে ২৩ কংগ্রেস নেতার চিঠি লেখার ঘটনার নিন্দে করেছিলেন খুরশিদ। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কংগ্রেসের মাথা হল গান্ধী পরিবার। কেউ এই কথা অস্বীকার করতে পারবে না। এমনকি বিরোধীরাও তা পারবে না। তাই সভাপতি থাকল কিনা তা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। আমাদের একজন নেতা রয়েছেন। তাঁর নাম রাহুল গান্ধী। এতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।”

সলমন খুরশিদ ছাড়াও যাঁরা নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তাঁরা হলেন নির্মল খাতরি, নসিব পাঠান, পিএল পুনিয়া, আরাধনা মিশ্র, সুপ্রিয়া শ্রিনাতে, বিবেক বনশল, অমিতাভ দুবে, প্রমোদ তিওয়ারি, প্রদীপ জৈন, গজরাজ সিং, নসিমউদ্দিন সিদ্দিকি, ইমরান মাসুদ ও বাল কুমার পটেল। অথচ সনিয়াকে চিঠি লেখা জিতিন প্রসাদ ও রাজ বব্বর ছাড়াও গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, শশী থারুর, আনন্দ শর্মাদের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের জায়গা হয়নি এই কমিটিতে।