
প্রতিনিধি : আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে থাকবেন রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক এবং সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। শনিবার এমনই রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
আজ সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়। আগেই অনুমান করা হয়েছিল তিন থেকে পাঁচদিনের জন্য শৌভিক এবং স্যমুয়েলকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানাবে নারকোটিক্স ব্যুরো। অনুমান এনসিবির সেই আবেদনই এদিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনার মাদক যোগের হদিশ মেয়ে তদন্তে নেমেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই ঘটনায় ইব্রাহিম কাইজান, আবদুল বসিত পরিহার এবং জাইদ ভিলাত্রা নামের তিন মাদক পাচারকারী বা ড্রাগ পেডলারকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। এদের মধ্যে কাইজানকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজত (জুডিশিয়াল কাস্টোডি) দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জন নারকোটিক্স ব্যুরোর হেফাজতে রয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ রিয়া এবং শৌভিকের বাড়ি যায় এনসিবির একটি দল। শুরু হয় তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত করা হয় শৌভিক চক্রবর্তীর ল্যাপটপ। তল্লাশি অভিযান শেষ করে শৌভিককে সঙ্গে নিয়েই দফতরে ফেরেন এনসিবি কর্তারা। একই ঘটনা হয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গেও। এরপর রাত পর্যন্ত চলে ম্যারাথন জেরা। শেষ পর্যন্ত রাতেই শৌভিক এবং স্যামুয়েলকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে খবর, রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ড্রাগ পেডলার জাইদের। শৌভিক এবং স্যামুয়েল সঙ্গে জাইদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আর এক ড্রাগ ডিলার আবদুল বসিত পরিহার। আপাতত মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং গোয়ার আরও অনেক মাদক পাচারকারীর উপর নজর রয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর।