ফের সরকারি হাসপাতালে রোগীর আত্মীদের হামলা, বীরপাড়ায় ডাক্তারকে বেধড়ক মার নিগৃহীত চিকিৎসক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি কথা বলার মত অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মী অন্য চিকিৎসকরা।

প্রতিনিধি আলিপুরদুয়ার: ফের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ। এবার আলিপুরদুয়ারে। জেলার বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডাঃ অমলেশ পান্ডাকে চরম হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল  দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। সঙ্গে কিল, চড়, ঘুষি।

প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। মিছিল করে বীরপাড়া থানাতে ডেপুটেশনও জমা দেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মুল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। মুল অভিযুক্ত একজন নাম করা অপরাধী। তাকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বীরপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের এই ক্ষোভ জেলা ও রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া জেলা হাসপাতালের মতো বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও আমরা স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির দাবি করেছি। নিয়ম মতোই এদিন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইন্ডোর থেকে কল আসায় সেখানে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন।’’

নিগৃহীত চিকিৎসক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি কথা বলার মত অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মী অন্য চিকিৎসকরা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়া জয়বীরপাড়া চা বাগানের এক যুবককে বৃহস্পতিবার রাতে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ অমলেশ পান্ডা। রোগীকে আনা মাত্র ডাক্তার তাঁকে দেখে‌ননি, এই অভিযোগ তু‌লে ওই চিকিৎসকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যেই রোগী নিয়ে হাসপাতাল থেকে সরে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’