জলে ভাসছে নোট! খবর রটতেই দূরত্ব বিধি ভুলে বর্ধমানের পুকুরে দাপাদাপি বাসিন্দাদের গ্রামের আবিদ শেখ বলেন, ‘‘একসঙ্গে অনেকগুলি নোট ভাসতে দেখা যায়। পুকুরে এ ভাবে নোট ভাসতে দেখে খুবই অবাক হয়ে গেছি আমরা।’’

প্রতিনিধি পূর্ব বর্ধমান: মেমারি থানার বড় মশাগড়িয়ায় পুকুর থেকে বেশ কিছু নোট পেলেন কয়েকজন। সে খবর চাউর হতেই দলে দলে মানুষ পুকুরের জলে নোট খুঁজতে নেমে পড়েন। কয়েকজন বেশ কয়েকটি নোটও পান। করোনা ভীতি দূরে সরিয়েই দাপাদাপি শুরু হয় পুকুরে। তা দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে ভিড় হটিয়ে দেয়। ডেকে পাঠানো হয় পুকুরের মালিককে। জেলে ডেকে জাল ফেলা হয় পুকুরে। তবে পরবর্তীতে পুকুর থেকে নোট বা গয়না কিছুই আর উদ্ধার হয়নি।

দিন দু’য়েক ধরে মশাগড়িয়ায় প্রাথমিক স্কুলের পিছনের পুকুরে টাকা ভাসছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন জলে নেমে টাকা পান। শুক্রবার সকালে গ্রামের কয়েকজন জলে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট ভাসতে দেখেন। সেই টাকা তাঁরা জলে নেমে তুলে নেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ জলে নেমে নোট খুঁজতে শুরু করেন। জলে রীতিমতো দাপাদাপি শুরু হয়। বেশকিছু পুরোনো নোট জল থেকে পান কয়েকজন। একটি সোনার বালাও পাওয়া যায়।

বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রীষ্মকালে পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। চুরির টাকা ও গয়না কেউ হয়ত পুকুরে পুঁতে রেখেছিল। বর্ষায় পুকুরে জল বাড়তেই মাটি সরে গিয়ে টাকা ভেসে উঠেছে। গ্রামের আবিদ শেখ বলেন, ‘‘একসঙ্গে অনেকগুলি নোট ভাসতে দেখা যায়। পুকুরে এ ভাবে নোট ভাসতে দেখে খুবই অবাক হয়ে গেছি আমরা।’’

মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা স্রেফ গুজব ছাড়া কিছু নয়। পুকুর থেকে কয়েকটি ১০, ২০, ১০০ ও ৫০০ টাকার পুরানো নোট উদ্ধার হয়েছে। নোটগুলির অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। কেউ হয়ত অনেকদিন আগে নোটগুলি জলে ফেলে দিয়েছেন। পুকুরে জাল ফেলা হয়। জাল ফেলেও আর টাকা বা গয়না কিছুই উদ্ধার হয়নি।’’