
প্রতিনিধি : ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের ছ’টি রাজ্য। এই ছটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও পুদুচ্চেরী। রাজ্যগুলির আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দেওয়া হল পরীক্ষা হবেই।
এর আগেও পরীক্ষা হওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের। তারপরেও সেই রায়ের বিরোধিতা করে বেশ কিছু রাজ্য। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন প্রমুখ। সেখানেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন মমতা। তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ছয় রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা আবেদন করে, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ছয় বিরোধী শাসিত রাজ্যের আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমস্যায় পড়তে পারেন অনেক পরীক্ষার্থী। তাঁদের জীবনের বিপদ হতে পারে। এমনকি এই পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিভিন্ন রাজ্যকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও তাঁরা জানিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, এমন কোনও সিদ্ধান্ত দেশের শীর্ষ আদালত নিক, যাতে পরীক্ষার্থীদের বছর নষ্ট না হয়, আবার তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকও বজায় থাকে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন। চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রয়েছে নিট পরীক্ষা। বিভিন্ন রাজ্যে পরীক্ষা শুরু হলেও সবাই পরীক্ষায় বসতে পারছেন না বলেই অভিযোগ এসেছে অনেক জায়গা থেকে। কোথাও পরিবহণের অভাব, কোথাও আবার সুরক্ষার প্রশ্ন থাকায় যতজন আবেদন করেছিলেন, সবাই পরীক্ষায় বসেননি বলেই জানা গিয়েছে। যাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারলেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্রকে দুষছে বিরোধী দলগুলি। তার মাঝেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বলবত রেখেই বিরোধীদের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।