লাদাখে পিএলএ-র উস্কানি, পাবজি মোবাইল সহ আরও ১১৮ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত

প্রতিনিধি : লাদাখে চিন সীমান্তে ফের সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে পাবজি মোবাইল সহ মোট ১১৮ টি চিনা অ্যাপ নতুন করে নিষিদ্ধ করল ভারত। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ এ ধারায় ওই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হল। কারণ তারা এমন কিছু কাজে লিপ্ত হয়েছে যাতে ভারতের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা   ও প্রশাসন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তথ্যসংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে বলা হয়, নানা সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, অ্যানড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে এমন কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। বেআইনিভাবে সেই তথ্য পাচার করে বিদেশে। ভারতের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন কোনও শক্তির কাছে সেই তথ্য পৌঁছায়। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তথ্য চুরির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

গত শনিবার রাত থেকে প্যাঙ্গং হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে চিনের বাহিনী। তবে ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। এরপরে দু’পক্ষই আবার সীমান্তের কাছে তাদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই দক্ষিণ প্যাঙ্গং রেঞ্জে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল চিন। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিল তারা। অন্যদিকে, প্যাঙ্গং হ্রদের কাছে চিনের পঞ্চম প্রজন্মের জে-২০ ফাইটার জেটকেও ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সেনার দাবি, লাল ফৌজের এই গতিবিধি আগে থেকে আঁচ করে ফেলার কারণেই তাদের এলাকা দখলের চেষ্টা রুখে দেওয়া গিয়েছিল।

চিনের জে-২০ চেংড়ু ফাইটার জেট হল পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। পিপলস লিবারেশন আর্মির জন্য এই শক্তিশালী ফাইটার জেট বানানো হয়েছে। শক্তিতে জে-২০ যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করতে পারে রাফাল ফাইটার জেট। চিনের যে কোনও যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি মোকাবিলা করার ক্ষমতা আছে সুখোই-৩০ এমকেআই মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টেরও।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, এই জে-২০ ফাইটার জেট ওঠানামা করছে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে। এই হোটান এয়ারবেস রয়েছে চিনের শিংজিয়াং প্রদেশে যা পূর্ব লাদাখের কাছাকাছি। এখান থেকে বোমারু বিমানও সীমান্তের কাছে মোতায়েন করেছে চিন। হোটান এয়ারবেস থেকে দেপসাং এলাকা, গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, হটস্প্রিং, প্যাঙ্গংহ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ এলাকায় নজরদারি চালানো সহজ।

এর আগে গালওয়ানে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পরে টিকটক সহ কয়েকটি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হল পাবজি মোবাইল সহ আরও কয়েকটি অ্যাপ।