
: আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা। নিয়ম মেনে মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালালে তাতে রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবরকমের বিধি, নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব মেনে যদি কেন্দ্র মেট্রো পরিষেবা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালাতে চায় তাহলে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। তবে এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভাল। রেল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারে। তবে একসঙ্গে সব নয়। ধাপে ধাপে চালাতে হবে।”
শুধু মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা নয়, বিমান পরিষেবা নিয়েও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রমণের হটস্পট হওয়ায় দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, পুনে, নাগপুর ও আহমেদাবাদ, এই ছটি শহরে থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে তিনদিন এই ছটি শহর থেকে বাংলায় বিমান চলাচল করতে পারবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বিমান পরিষেবা নিয়ে অবশ্য এর আগে আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বরং রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এই দেশি-বিদেশি বিমান পরিষেবাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রর কাছে বারবার রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছে, যেসব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি সেখান থেকে যেন বিমান না আসে। এমনকি রাজ্যে প্রতি মাসে যে লকডাউনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই দিনগুলিতেও এই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার অনুমতি চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র সেই অনুমতি দেয়।
কেন্দ্রের ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও এর আগে আপত্তি জানিয়েছিল বাংলা। রাজ্যকে না জানিয়ে ক্রমাগত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ঢুকিয়ে দেওয়ায় বাংলায় সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল নবান্নের তরফে। অবশ্য মেট্রো পরিষেবা চালানোর প্রস্তাব নিজেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালানোর বিষয়ে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নিয়ে মেট্রো চলানোর আবেদন করা হয়। মেট্রোর তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র অনুমতি দিলেই তারা তৈরি। তাই আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা নেই বলেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।