
ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। করোনাভাইরাসের লাগামছাড়া সংক্রমণের মধ্যেই সাধারণ জীবনযাপনে ফেরার চেষ্টা করছে মানুষ। পেটের দায়ে বাইরে বেরোনোর বাধ্যতা এবং সংক্রমণের আতঙ্ক একইসঙ্গে কার্যকর সাধারণের জনমানসে। আর এর মধ্যেই সমস্যা ও দ্বন্দ্ব বাড়িয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের নামে সাম্প্রতিক একটি বিবৃতি। তাতে জানানো হয়েছে, এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে দেশজুড়ে ফের চালু হবে পুরোপুরি লকডাউন। ৪৬ দিন ধরে একটানা লকডাউন চলবে এই দফায়। সরকারের তরফে এবার স্পষ্ট জানানো হল, এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এরকম কোনও বিবৃতিও জারি হয়নি। সবটাই ভুয়ো।
খবরটি সামনে আসার পরে মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়! অনেক জায়গাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসন্ন লকডাউন নিয়ে। কিন্তু সম্প্রতি ফ্যাক্টচেক জানা গেছে, এই লকডাউনের গোটা বিষয়টাই গুজব। দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর এমন কোনও নির্দেশিকাই দেয়নি। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই মানুষকে সমস্যায় ফেলতে এই ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছে। এমনকি জাল করা হয়েছে সরকারি দফতরের প্যাড এবং ভারত সরকারের স্ট্যাম্পও।
করোনা সংক্রমণ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করলে মার্চ মাসে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দফায় দফায় কয়েক দিন করে লকডাউন চলার পরে জুন মাস থেকে আনলক পর্বে প্রবেশ করেছে দেশ। ধাপে ধাপে শিথিল করা হয়েছে কড়াকড়ি। খুলতে শুরু করেছে অফিস, দোকান, বাজার, পরিবহণও চালু হয়েছে কিছু।
এ সবের মধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণের মতোই যেন ছড়িয়ে পড়ছে নানা ফেক নিউজ। এত ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্যাক্ট চেক প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছে সরকার। যাতে আসল সত্যটা যাচাই করে নেওয়া যায়। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি থামেনি গুজব।
দেশে এখন সুস্থতার হার প্রায় ৭৮ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ১.৬৪ শতাংশ। বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ব্রাজিলকে ছাপিয়ে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা এগিয়ে গিয়েছে ভারত। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগে রয়েছেন সকলেই।
এই পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ দ্বন্দ্ব ও সমস্যা ছড়িয়ে যাচ্ছেন নানা ভাবে। লকডাউন নিয়ে ফেক নিউজ় তারই প্রকাশ।