
বেঙ্গল ওয়াজ প্রতিনিধি : উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল দেশ। এই ঘটনায় উচ্চবর্ণের চার যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সিবিআই তদন্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তারমধ্যেই এবার অভিযুক্তদের ন্যায়বিচারের দাবি উঠল। তাও আবার নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই এক বিজেপি নেতার বাড়িতে জমায়েত করে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গেল যোগী প্রশাসনের দিকে।
সম্প্রতি ফরেন্সিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক বলেছিলেন, তরুণীকে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই কথাই উঠে আসে এদিনের জমায়েতে। জানা গিয়েছে হাথরাসের তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষরা এই জমায়েত করেছিল।
এই ঘটনার পরে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে যোগী প্রশাসনের উপর। কারণ যেখানে এই জমায়েত করা হয়েছিল সেটি নির্যাতিতার বাড়ির খুব কাছেই। জমায়েতের কাছেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু যেখানে দু’দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে পর্যন্ত ঢুলতে দেওয়া হচ্ছিল না, সেখানে ৫০০ জন জমায়েতের অনুমতি কী ভাবে দিল প্রশাসন। যদি ওই জমায়েত থেকে কোনও হামলা নির্যাতিতার বাড়িতে হত তার দায় কে নিত।
যদিও এই ঘটনার পরে হাথরাসের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট প্রেম প্রকাশ মীনা জানিয়েছেন, তিনি ওই জমায়েতের বিষয়ে নাকি কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারের উপর কোনও চাপ নেই। রাজনৈতিক নেতারাও চাইলে পাঁচজন করে দেখা করতে যেতে পারেন পরিবারের সঙ্গে।”
জমায়েতের উদ্যোক্তাদের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, “আমরা এই জমায়েতের বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত। অভিযুক্তদের মিথে ফাঁসানো হচ্ছে।”
জানা গিয়েছে, এর আগে শুক্রবারও গ্রামের কাছে তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষদের একটা জমায়েত হয়। কিন্তু সেই সময় যে কোনও রকমের জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। যদিও এদিনে জমায়েতের প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই জমায়েত বন্ধ করার অধিকার তাদের নেই। কারণে একটা একজনের বাড়ির মধ্যে হয়েছে।
এই ঘটনায় অবশ্য ফের প্রশ্ন উঠছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের দিকেই। কারণ ফরেন্সিক রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ ছাড়াও একাধিক বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। নির্যাতিতার উপর যেভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছিল সেটাও কম নয়। আর যেখানে একটা মামলা তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে, সিবিআই তদন্তের কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে কী ভাবে এই ধরনের জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। তাও আবার বিজেপি নেতার বাড়িতেই হল জমায়েত। এই ঘটনায় ফের বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠে