‘হংসরাজ’ হওয়ার কথা ছিল না অরিন্দম গাঙ্গুলির! প্রথমে গান গেয়েছিলেন তিনি, তার পর…

                                          শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

‘ও বাবুমশাই এখন আমি কী শোনাই,
শহরটারে গোলক ধাঁধায় আঁধার হল মন’…

আজও এই গান শুনলে আমাদের ছোটবেলার দিনগুলো মনে পড়ে যায়। ‘হংসরাজ’ বাংলা ছায়াছবি বহু মানুষের কাছে নস্টালজিয়া। সেই ‘হংসরাজ’ ছায়াছবি সদ্য পূর্ণ করল ৪৪ বছর। ১৯৭৬ সালের ২০শে অগস্ট কালজয়ী ছবিটি মুক্তি পায়। সে ছবিরই নানা গল্প ভাগ করে নিলেন হংসরাজ অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় ও টিয়া স্বর্ণালী নাগ।

কলকাতার উত্তরা, পূরবী, উজ্জ্বলা সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ‘হংসরাজ’। সেই তিনটি হলই আজ আর নেই কলকাতা শহরের বুকে। সিঙ্গল স্ক্রিন হল ভেঙে শপিং মল, মাল্টিসোরিড উঠেছে। তবু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের মন থেকে মুছে যায়নি ‘হংসরাজ’ ও এই ছবির গান। এত বছর পর ফিরে দেখলেও ভাল লাগা এতটুকু ম্লান হয়নি। পাশাপাশি, এই ‘হংসরাজ’ই প্রথম বাউলগানে মিউজিক্যাল হিট ছবি। বাউল গানকে এত সুন্দর ও জনপ্রিয় ভাবে ব্যবহার করা ‘হংসরাজ’ ছবিতেই প্রথম ও শেষ।

হংসরাজ বললেই মনে পড়ে সেইসময়কার কিশোর মহাতারকা, শ্রীমান অরিন্দমের মিষ্টি হাসির মুখটা। সেই কিশোর হংসরাজ শ্রীমান অরিন্দম গাঙ্গুলিও দেখতে দেখতে তাঁর অভিনয়ের জীবনের ৫০ বছরের বেশি পার করে ফেলেছেন। অনেকেই ভাবেন ‘হংসরাজ’ অরিন্দমের প্রথম ছবি। তা কিন্তু নয়। ‘হংসরাজ’ ছিল মাস্টার অরিন্দমের ১৬ নম্বর ছবি। ‘প্রস্তর সাক্ষর’ ছবিতে প্রথম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শিশুবেলার রোল করেছিলেন তিনি। তার পরে আরও অনেক ছবি করে সুযোগ মেলে হংসরাজে।

হংসরাজ ছবির পরিচালক ছিলেন অজিত গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি অরিন্দমদের কাছে ছিলেন অজিত মামা। হংসরাজে অরিন্দম ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন স্বর্ণালী গাঙ্গুলি নাগ (টিয়া), বাসুদেব পাল (শামু), বিউটি মামণি মুখার্জী (নূপুর), সুবীর ঘোষ (ডনি) প্রমুখ। তখনকার নামকরা শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সন্ধ্যারানি, কালী ব্যানার্জী, বিনতা রায়, জহর রায়, কামু মুখার্জী প্রমুখ। তবে হংসরাজের রোলে অরিন্দম গাঙ্গুলি পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না! প্রথমে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল।

এ বিষয়ে অরিন্দম গাঙ্গুলি বললেন, “হংসরাজে প্রথমে তো আমার অভিনয় করার কথাই ছিল না। হংসরাজের গানগুলোতে প্লে ব্যাক করার জন্য আমাকে বাছা হয়েছিল প্রথমে। আমি তো গানের প্রোগাম করতাম ছোট থেকেই। একদিন বনশ্রী সেনগুপ্ত আমাদের বাড়িতে ফোন করে আমাকে ডেকে বললেন, ‘সুধীনদা (দাশগুপ্ত) নতুন ছবির জন্য গান বানাচ্ছেন, বাচ্চাদের নিয়ে বাচ্চাদের ছবি হবে। তাই বাচ্চার কন্ঠে গান লাগবে। গানের জন্যে সুধীনদার সঙ্গে তুই একবার দেখা কর।’ তো আমি দেখা করলাম, সিলেক্টও হলাম।

প্রথম গান তুললাম ‘ও শামু শ্যাম রে’ গানটা। গানটা তোলার পরে এইচএমভি বলতে শুরু করল ‘একে তো নতুনদের নিয়ে ছবি তার ওপর নতুন কেউ গাইলে বিক্রি করা মুশকিল। নামী বিখ্যাত শিল্পীকে দিয়ে না গাওয়ালে চলবে না।’ তখন আরতি মুখোপাধ্যায় এলেন। হংসরাজের গানগুলো গাইলেন। উনি তো প্রণম্য শিল্পী, খুবই ভাল গাইলেন, কিন্তু আমার তো খুব কান্না পাচ্ছিল। তখন পরিচালক অজিত গাঙ্গুলি আমায় ডেকে বলেন ‘তোর তো এই ছবিতে গান গাওয়া হল না কিন্তু আমি হংসরাজের জন্য নতুন মুখ খুঁজে পাচ্ছি না। তাই তুই হংসরাজের পার্টটা কর।’ আমার আবার ওই ছোট বয়সেই খুব আত্মসম্মান ছিল। তাই না করে দিলাম। তখন আমার মা অনুভা গঙ্গোপাধ্যায় আমায় বললেন ‘তোকে এখান থেকে গানে বাদ দেওয়া হল তুই এই ছবিতে অভিনয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নে।’ সেই চ্যালেঞ্জই নিলাম, এবং হংসরাজ ইতিহাস হয়ে গেল।”

‘ও শামু শ্যাম রে’ গানটি যদি এখনও শোনা যায়, সেই মেঠো সুর মুক্ত বাতাসে অনুভূত হয়। আরতি মুখার্জী অসাধারণ গেয়েওছিলেন। কিন্তু তখন আমজনতার অনেকেই ভাবত গানগুলো অরিন্দমই গেয়েছেন। কারণ হংসরাজ যখন সুপারহিট হয়, তখন অরিন্দমের পাবলিক প্রোগামও প্রচুর বেড়ে যায়। তখন অরিন্দম সব গান নিজ কণ্ঠেই গাইতেন। এই গাওয়াও এখনও জনপ্রিয়।

হংসরাজ ছিল খুব কম বাজেটের ছবি। প্রধান চরিত্ররা সব ছোট বাচ্চা। পথে ঘাটে ঘুরে অথবা কারও বাড়িতে শ্যুট করা হয়। আর ইনডোর শ্যুট ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। তবে আউটডোরগুলো বোলপুরে খুব ভাল করে করা হয়েছিল। সেই লো বাজেট, স্টারবিহীন ছবি, বাউল অঙ্গের গানের ছবি অরিন্দম গাঙ্গুলিকে স্টার বানিয়ে দিল। অরিন্দমের জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে যায় যে পুলিশ ব্যারিকেড করে অরিন্দমকে পাবলিক প্রোগামে নিয়ে যাওয়া হত। গ্রামে গঞ্জের শো-তে এই পুলিশি পাহারা আরও জোরদার করা হত কারণ বিপুল জনতার ঢল নামত শুধুমাত্র পর্দার হংসরাজকে সামনে থেকে দেখার জন্য।

আজকাল কোনও শিশুশিল্পী এমন জনপ্রিয়তা ভাবতেও পারে না। অরিন্দম তখনও মাটিতে পা রেখে চলতেন, আজও তাই চলেন। তাঁর মা বাবার শিক্ষা ছিল সেরকমই। বড় কাজ করো, কিন্তু বড় ভাব দেখিও না। তাই অভিনয় জীবনের পঞ্চাশ বছর পেরিয়েও আজও এই তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা, পুলিশ ব্যারিকেডের কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন হংসরাজ।

মনে পড়ে হংসরাজের আরও একটা বিখ্যাত গান ‘টিয়া টিয়া টিয়া, অজ পাড়াগাঁয়ে থাকে, ট্যারা চোখে তাকায় টিয়া নোলক পরা নাকে’। শ্যামশ্রী মজুমদারের কণ্ঠে এ গান ভোলা যায় না। টিয়ার চরিত্রে স্বর্ণালী গাঙ্গুলি হলেন অরিন্দম গাঙ্গুলির নিজের বোন। বিয়ের পরে স্বর্ণালী নাগ। ওঁদের আর এক বোন ছিলেন বর্ণালী, তিনিও শিশুশিল্পী হিসেবে অনেক ছবি করেছেন।

স্বর্ণালী বলছিলেন, “আমি তখন এত ছোট ছিলাম যে কিছু বুঝতাম না। যা বলত করে দিতাম। হংসরাজ আমারও প্রথম ছবি নয় কিন্তু। আমার প্রথম ছবি ‘শচী মাতার সংসার’। হংসরাজ ছ’নম্বর ছবি। এটা মনে আছে আমি, দাদা, শামুদা আমরা সবাই প্রথম দিন অজিত গাঙ্গুলির বাড়ি দেখা করতে গেছিলাম। আমি একটু বেশি সেজেগুজে গেছিলাম, সিনেমা বলে কথা। তো অজিত মামা বলেছিলেন ‘এত সাজ লাগবে না আমার। গ্রামের মেয়ের নোলক পরা সাজ লাগবে।’ তার পরে তো টিয়া আইকনিক চরিত্র হয়ে গেল। অনেকেই জানত না আমি দাদার বোন। তখন হংসরাজের পরে দাদা প্রচুর ফাংশন, উদ্বোধন পেত। অর্গানাইজাররা আমাদের বাড়িতে এসে যদি দেখত আমিও রয়েছি, তখন জানতে পারত ভাই-বোনের কথা। তখন আমাদের দুজনকেই ফাংশনে আমন্ত্রণ জানাত। আজও অনেকে চিনতে পারলে আমার মুখে টিয়ার সারল্য খুঁজে পায় বলে। সেটাই প্রাপ্তি।”

অরিন্দম বলছিলেন আরও নানা মজার গল্প। “হংসরাজ করার আগে আমাকে মাথায় অনেক চুল রাখতে হয়। বড় চুলে রাস্তায় বেরলেই লোকে বলত ‘এটা ছেলে না মেয়ে রে।’ হংসরাজ করব বলে খমক বাজানো শিখলাম। সাঁতার জানতাম না, তাও শিখলাম। স্বর্ণালী অভিনয় করাতে আমার আরও একটা সমস্যা হল, রাস্তায় আমরা দাদা-বোনে হেঁটে যাচ্ছি, শুরু হয়ে গেল আওয়াজ দেওয়া। লোকে তো সিনেমাতে দেখেছে টিয়া আমার গার্লফ্রেন্ড। ‘হংসদাদা বর যে তারই/ টিয়া চলে শ্বশুরবাড়ি।’ ও যে আমার নিজের বোন তা তো জানত না। স্বর্ণালী সেই তখন থেকেই এখনও যেখানেই যাই আমরা, দাদা দাদা করে ডাকতে থাকে। সেই ছোট থেকে ওর তাই বেশি দাদা দাদা করা অভ্যাস হয়ে গেছে।”– হেসে ওঠেন অরিন্দম।

এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, আজও অরিন্দম গাঙ্গুলির অভিনয়, গান, লেখালেখির এই লম্বা সফরের সব নথিপত্র ও ছবি স্বর্ণালীই সযত্নে গুছিয়ে রাখেন। হংসরাজের আর এক জন হলেন শামুদা, যাঁর আসল নাম বাসুদেব পাল। যিনি পরবর্তী কালে চাকরি জীবন সামলেও সানন্দায় অনেক মডেলিং করেছেন। সেই হংস ও শামুর বন্ধুত্ব আজও অটুট। বাসুদেব নয়, শামু বলেই ওঁকে আজও ডাকেন সকলে।

হংসরাজের ডনি কে নিয়ে আরও একটা দারুণ গল্প বললেন অরিন্দম। “ছবির শেষের দিকে একটা সিকোয়েন্স ছিল, প্রতিযোগিতায় গান গাইতে দেওয়া হবে না বলে হংসরাজকে ছাদের ওপর বন্দি করে রেখেছে ডনি। ওই শটটা নেওয়ার সময় এক জন গুন্ডা আমায় কাঁধে তুলে রেখেছে। আর ডনি ‘অ্যাই চুপ কর, চুপ কর’ বলে চেঁচামেচি করছে। হঠাৎ ও শটটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে বলে আমায় মারল এক ঠাঁটিয়ে চড়। ‘ঠাস’ করে বিকট একটা আওয়াজও হল। আচমকা চড়টা আমার চোখের ওপর এসে পড়ল। আমি তো চোখে অন্ধকার দেখছি। কোনরকমে আমি শটটা শেষ করলাম। কিন্তু তার পরই চোখ চেপে বসে পড়লাম। চোখ ফুলে লাল। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ইন্দ্রপুরীর ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়ে চা-পাতার গরম সেঁক দেওয়া হল, যাতে ফোলাটা একটু কমে, আর পরের শটগুলো করতে পারি। এ দিকে ডনি তখন অপরাধবোধে ভুগছে কেন অতি উৎসাহী হয়ে এসব করতে গেল! আমি ছোটবেলা থেকেই ভেজিটেব্‌ল চপ খেতে ভালবাসতাম বলে অনুশোচনার ঠেলায় ও তাড়াতাড়ি আমার জন্য চপ কিনে আনল।”

হংসরাজকে দেখার জনপ্রিয়তা তখন তুমুল। আজও অরিন্দম গাঙ্গুলি মানেই হংসরাজ। তার পরে শর্মিলা ঠাকুর, অমল পালেকার অভিনীত ‘মাদার’ ছবি করেও অরিন্দম জনপ্রিয় হন। এই জনপ্রিয়তাও এক বিড়ম্বনা। অরিন্দম বলছিলেন, “আমার দাদার মতো একজন ছিলেন, ব্রজদা। ওঁদের বাড়িতে রসুলপুরে একটা বিয়ে উপলক্ষে আমরা গেছি। বাড়িতে কত বসে থাকব, তাই আমি, মা, বাবা আর বোন বেরিয়ে একটা চায়ের দোকানে এসে বসেছি। সেখানে এমন ভিড় হয়ে যায় আমায় আর বোনকে দেখে, যে সেই চাওয়ালার দোকান, গ্লাস, শিশি ভেঙে যাচ্ছেতাই অবস্থা। সে চাওয়ালাও প্রচণ্ড রেগেও যান। এ রকমও হয়েছে, আমি বালুরঘাটে একটা অনুষ্ঠান করতে যাব, তাই আগে থেকে বালুরঘাটের সব স্কুল-কলেজ ছুটি হয়ে গেছে। রাতে ট্রেনে জেগে ভোরে বালুরঘাট পৌঁছেছি। এইবার মন্দিরে ঠাকুর দেখার জন্য যেরকম লাইন পড়ে, ওই সকাল থেকে বিশাল লাইন। আমি সারাদিন ধরে অটোগ্রাফ দিয়েই চলেছি, আর আমায় সবাই দেখেই চলেছে।”

হংসরাজ করে অরিন্দমের সাফল্য, নাম, যশ যেমন আসে, তেমনই আসে পুরস্কার। এই নিয়েও গল্প বললেন হংসরাজ অরিন্দম নিজেই। “তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলচ্চিত্র পুরস্কার দিত। সিদ্ধার্থশংকর রায় মুখ্যমন্ত্রী। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। এক দিন রেডিওতে খবর শুনছি। তখন আটটায় স্থানীয় সংবাদ হত। টেলিভিশনের চল তো হয়নি, রেডিওই সব। খবর পড়ছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনকার বিখ্যাত সংবাদ পাঠক ছিলেন। ‘খবর পড়ছি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়’ এরকম বলতেন। খবরে শুনলাম চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। নামগুলো শুনতে শুনতে হঠাৎ শুনি শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে হংসরাজ ছবির জন্য শ্রীমান অরিন্দম। কী যে লাফিয়েছিলাম সে দিন! রেডিও থাকত উঁচুতে। আমি বসতাম মাটিতে বাবু হয়ে। খেলা পাগল ছিলাম। ফুটবল ক্রিকেট অলিম্পিকের কমেন্ট্রি শুনতাম মাটিতে বসে। তো পুরস্কার পেয়েছি শুনে লাফিয়ে উঠে মাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে রবীন্দ্র সদনে সেবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলচ্চিত্র পুরস্কারে অরিন্দম পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতার পুরস্কার আর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, ‘মৃগয়া’ ছবির জন্য। প্রথম মিঠুন চক্রবর্তী আত্মপ্রকাশ করলেন এই ছবিতে ও সেরা অভিনেতার প্রথম পুরস্কার পেলেন।”

হংসরাজ যখন চল্লিশ বছরে পদার্পন করে তখন হংসরাজ টিম এক হয়ে পুর্নমিলন অনুষ্ঠান হয়েছিল। অনেকগুলো বসন্ত পেরিয়েও সেই ছোটবেলার বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। আর অটুট রয়েছে দর্শক-শ্রোতাদের ভালবাসাওয নব্বই দশকের গরমের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে ‘ছুটি ছুটি’ অনুষ্ঠান থেকে আজও কোনও সুযোগে হংসরাজের গান শুনলে মন জুড়িয়ে যায়।