
ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন দিল্লিতেই। গত ফেব্রুয়ারি মাসের সেই সময়েই সাম্প্রদায়িক হিংসায় আগুন জ্বলেছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। রবিবার জানা গিয়েছে সেই মামলার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ সিপিএম সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির নাম যুক্ত করেছে।
শুধু সীতারাম নন। সেই তালিকায় রয়েছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তী ঘোষ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ ও স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের নামও।
এই ঘটনাকে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে সমালোচনা করেছে সিপিএম। তাঁদের বক্তব্য, “ফ্যাসিবাদের নির্লজ্জ নগ্নরূপের বহিঃপ্রকাশ।”
যদিও দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত বেশ কয়েকজনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে সীতারামদের নাম। সেই কারণেই সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে। এবার তদন্ত শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি ভীতি প্রদর্শন করে মানুষকে সিএএ-এর মতো বৈষম্যমূলক আইনের বিরোধিতা থেকে রুখতে পারবে না। সমস্ত ভারতীয় যে তাদের ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক নির্বিশেষে সমান, তা বুঝিয়ে দেবে। ভারতবাসী বুঝিয়ে দেবে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা শুধু আমাদের অধিকার নয়, আমাদের দায়িত্বও। আমরা তা করবই।”
দিল্লি পুলিশ যে চার্জশিট জমা করেছে, তাতে ‘পিঁজরা তোড়’ আন্দোলনে যুক্ত দেবাঙ্গনা কলিতা, জেএনইউ-এর ছাত্রী নাতাশা নারওয়াল ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রী গুলফিশা ফতিমার ভূমিকার কথা রয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধেই কঠোর ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।