সকাল-সকাল ভূমিকম্প নদিয়া ও দুর্গাপুরে, আতঙ্কিত স্থানীয়রা, রিখটার স্কেলে কম্পনমাত্রা ৪.১

ঘড়ির কাঁটা তখনও সকাল আটটা ছোঁয়নি। বৃষ্টি-বাদলার আবহাওয়ায় সকালের আলসেমি তখনও জড়িয়ে অনেকেরই। হঠাৎই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নদিয়ার মাটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটে নদিয়ার এই কম্পনের রিখটার স্কেলের তীব্রতা ছিল ৪.১।

নদিয়ার পাশাপাশি এদিন কেঁপে ওঠে দুর্গাপুরও। শিল্পশহর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে, মাটি থেকে ১০ কিমি গভীরে ছিল এই কম্পনের উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের জেরে দুজায়গাতেই খানিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। কেউ কেউ ঘুম ভেঙে উঠেই কম্পন টের পাওয়ায় বাড়ি থেকে দৌড়ে বেরিয়েও পড়েন। তবে এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মাঝারি মাপের  কম্পন অনুভূত মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও সংলগ্ন অঞ্চলেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৮।

চলতি সপ্তাহেই সোমবার কম্পন অনুভূত হয়, অরুণাচল প্রদেশের অনজো এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৭। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, ভোর রাতের আগে ৩ টে ৩৬ নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। তখন সকলে ঘুমে অচেতন হওয়ায় কেউ তেমন টের পাননি ভূমিকম্প। ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়নি। কয়েক দিন আগে, ২১ অগস্ট সকালে কম্পন অনুভূত হয় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকায়। সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা অবশ্য বেশি ছিল না।

তার আগে চলতি মাসে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারের নিকটবর্তী এলাকা। গভীর রাত ২.২৩ মিনিটে পোর্টব্লেয়ার থেকে ২২২ কিমি দক্ষিণে ছিল এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নীচে আঘাত হানে কম্পন। তার মাত্রা ছিল ৪.৭। তার কদিন আগেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মরুরাজ্য রাজস্থান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫ ম্যাগনিটিউড। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাজস্থানের বিকানীর থেকে ৬৬৯ কিমি দূরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিমি গভীরে কম্পন প্রথম আঘাত হানে।

একের পর এক এই মৃদু কম্পনের জেরে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের একাংশের মনে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বারবার কম্পন হওয়া মানেই তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হতে চলেছে, তার কোনও মানে নেই।