সংকটে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণের কর্মীরা, সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রতিনিধি হাওড়া :টানা কয়েক মাস অনেক জল বয়ে গেলেও ফেরি পরিষেবা বন্ধই ছিল রাজ্যে। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর আস্তে আস্তে তা শুরু হলেও এখনও সবটা স্বাভাবিক নয়। বরং বড়সড় সংকটের মধ্যেই পড়ে গিয়েছেন হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির কর্মীরা। পুজোর মুখে মাইনে বন্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।

উৎসবেরে মুখে বেতনহীন ৩ শতাধিক কর্মী। যার জেরে কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দোরগোড়ায় হাওড়া-কলকাতার একাধিক রুটের ফেরি পরিষেবা। করোনা আর লকডাউন, জোড়া ফলায় বিদ্ধ সমিতির কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য না করলে সমস্যা আরও বাড়বে। অচলাবস্থা কাটাতে বৃহস্পতিবার হাওড়ার বিভিন্ন ফেরি ঘাটের ঘাটের কর্মীরা জমায়েত করেন এবং আলোচনায় বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাঁরা সরকারের কাছে চিঠি দেবেন।

জলপথ কর্মীদের আরও দাবি, দেশ ব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে হাওড়া স্টেশনে নেমেই লঞ্চ ঘাটের দিকে কাতারে কাতারে মানুষের ব্যস্ততার দৌড় গত পাঁচ-সাড়ে পাঁচ মাস ধরে উধাও। মুষ্টিমেয় যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সমিতি। এক দিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং  অন্য দিকে অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সার্ভিস চালানোর কারণে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে আয়। তাই প্রায় ৩৫০ কর্মীর বেতন মেটাতে গিয়ে হাত পড়েছে সঞ্চিত অর্থেও। গত দু’মাস সেই খাত থেকে টাকা নিয়ে বেতন মেটাতে গিয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে শেষ সম্বলটুকুও। এই অবস্থায় কর্মীরা এক মাস বেতনহীন। কবে পাবেন তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। পরিস্থিতির সমস্ত কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমবায় মন্ত্রীর দফতরে। কিন্তু এখনও কোনও দিক থেকেই মেলেনি সাহায্যের আশ্বাস। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হাওড়া-বাবুঘাট, হাওড়া-বাগবাজার, হাওড়া-ফেয়ারলি, রামকৃষ্ণপুর-বাবুঘাট, মেটিয়াবুরুজ-নাজিরগঞ্জ, বজবজ-বাউরিয়া, নূরপুর, গেঁওখালী-গাদিয়ারার মত একাধিক রুটে ফেরি সার্ভিস কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। এ ব্যাপারে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।