শচীনের নাম নিয়ে কোচ নির্বাচনে স্বজনপোষনের অভিযোগ

 ব্যুরো : এমন অভিযোগ এইপ্রথম। শচীন তেন্ডুলকারের নামের অপব্যবহার করে কোচ নির্বাচনের ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মুম্বই ক্রিকেটের কোচের পদের জন্য ২৪ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিআইসি-র (ক্রিকেট ইমপ্রুভমেন্ট কমিটি) তিন সদস্য লালচাঁদ রাজপুত, রাজু কুলকার্নি ও সমীর দিঘে। সোমবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচক পদের জন্য সাক্ষাৎকার নেবেন তাঁরা। তার আগেই বেশ কয়েকজনই শচীনের নাম নিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।

এই বিষয়ে অভিযোগ করে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষ কর্তা বিজয় পাতিলকে দেওয়া ই-মেলে রাজপুত লিখেছেন, ‘‘আমরা সবাই শচীনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাঁর নাম যত্রতত্র ব্যবহার করে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি নাকি নামগুলি সুপারিশ করেছেন। কিন্তু শচীনের যদি এমন কোনও সুপারিশ থাকত, তিনি সরাসরি প্রেসিডেন্ট কিংবা সিআইসি-কে তা বলতেন। আমরা তাঁকে ভালোভাবে চিনি। তিনি একজন আইকন এবং সবার শ্রদ্ধার পাত্র। আমি নিশ্চিত তাঁর যদি কোনও পরামর্শ বা সুপারিশ থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে কথা বলার পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে।’

এই একই ইমেলে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল সদস্য অমিত দানির নাম উল্লেখ করে অভিযোগও করা হয়েছে। সেখানে রাজপুত লিখেছেন, ‘‘আমি পরামর্শ নিতে সবসময়ই আগ্রহী। যে কেউ পরামর্শ দিলে সাগ্রহে মানতে রাজি, কিন্তু দানি আমাকে তো এটা বলতে পারে না যে, ওই প্রার্থীকে নেওয়া উচিত। এই কাজটা আমার ভালো লাগেনি। কেউ যদি নামগুলো জানতে চায়, আমি সেগুলো বলতে পারব। কিন্তু লেখায় সেটি জানাচ্ছি না।’’

ভারতের এই নামী প্রাক্তন তথা জুনিয়র জাতীয় দলের সফল কোচ বলেছেন, ‘‘এখন আমি বুঝতে পারছি মুম্বই ক্রিকেট কেন অধঃপতনের দিকে। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তারা জোর খাটিয়ে যে কোনও কিছু আদায় করে নিতে পারে। আমরা সিআইসি সদস্যরা এটা মেনে নিতে পারি না। কারণ আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছি বলেই আমরা এখানে কাজ করতে এসেছি, না হলে এতকিছু বলার দরকার পড়ত না।’’

তবে স্বাভাবিকভাবেই লালচাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমিত দানি। তিনি এক নামী সর্বভারতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমি কখনও কোনও প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে শচীনের নাম বলিনি। আমি কেন এমন করব? কোনও ভুল কাজে কখনও তাঁর নাম নেব না আমি। তিনি যদি কিছু বলার কথা মনে করেন, সেটা সরাসরি এমসিএ-কেই বলতে পারেন। আমার মাধ্যমে তো বলার দরকার নেই। আমি মনে করি সিআইসি-র সঙ্গে এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। তাদের সঙ্গে কথা বলে এটি ঠিক করে নেব আমি।’’