লোকল ট্রেন ও মেট্রো চালু করতে রেল মন্ত্রককে চিঠি নবান্নর, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিষেবার প্রস্তাব

গত বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সবরকমের বিধি, মেনে যদি কেন্দ্র মেট্রো পরিষেবা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালাতে চায় তাহলে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই।” গতকাল শুক্রবার সেই মর্মেই রেল বোর্ডকে চিঠি লিখেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবকে চিঠি লিখে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, বিধি মেনে রেল ও মেট্রো পরিষেবা চালালে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। তবে পরিষেবা শুরু করার আগে রাজ্যের সঙ্গে যেন একবার আলোচনা করে নেওয়া হয়।

সপ্তাহ খানেক ধরেই শোনা যাচ্ছে আনলকের চতুর্থ পর্বে রেল পরিষেবা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক করবে কেন্দ্র। বিশেষেত মেট্রো চলাচলের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে শুধু মেট্রো নয়। এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে কিছু কিছু লোকাল ট্রেনও চালানো হবে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত অল্প সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে অনেকের বক্তব্য, অল্প সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানো মানে একটি ট্রেনে ভিড় বেশি হবে। তার বদলে ট্রেনের সংখ্যা যদি বাড়ানো যায় তাহলে কামরার মধ্যে, স্টেশনে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে। তবে রেলের বক্তব্য, আস্তে আস্তে করেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার কাজ করতে হবে। সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

জরুরি পরিষেবার কর্মীদের জন্য আলাদা পাসের ব্যবস্থা করতে পারে মেট্রো রেল। যাতে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। তা ছাড়া টিকিট কাউন্টারের সামনেও দূরত্ববিধি মেনে লাইন করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক জনের থেকে আর এক জনের মধ্যে যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে তার জন্য দাগ কেটে দেওয়া হচ্ছে।

এই ধরনের পরিকাঠামোগত দিকগুলি সাজতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা মেট্রোরও অনেক স্টেশনে এই কাজ শুরু হয়েছে। সব দেখে অনেকেই মনে করছেন, সেপ্টেম্বরের গোড়াতে না হলেও মাঝামাঝি সময় থেকে হয়ত রেল পরিষেবা শুরু করে দেবে কেন্দ্র।

মার্চের ২২ তারিখ থেকে বন্ধ লোকাল ও মেট্রো পরিষেবা। বিশেষ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে বটে তবে তা হাতে গোণা। এবার সমস্ত ধরনের রেল পরিষেবাকে নিউ নর্মালের ট্র্যাকে ফেরাতে চাইছে দিল্লি। সেই মর্মেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।