
ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো: অনলাইন ক্লাস। করোন কালের নতুন স্কুল। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই এই ভাবে চলছে লেখাপড়া। আর তাতে কত না সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কারও কাছে ডিভাইস নেই, কারও নেই ইন্টারনেটের সুবিধা। তার মধ্যেও পড়ুয়াদের অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার খবরও অনেক। এবার তেমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে।
কোনও গরিব দেশ নয়, এই ছবি মার্কিন মুলুকের। ক্যালিফোর্নিয়ার ইস্ট স্যালিনা শহরের এক রেস্তোরাঁর সামনে রাস্তায় বসেই অনলাইনে ক্লাস করছে দুই খুদে পড়ুয়া। রেস্তোরাঁর ওয়াইফাই ব্যবহার করেই ওরা পড়াশোনা করছে। গোটা বিশ্বেই যে ডিজিটাল বৈষম্যের চিত্র সমান তারই যেন এক নজির ক্যালিফোর্নিয়ার এই ছবি। ট্যাকো বেল নামে এক রেস্তোঁরার সামনের এই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে এই দুই শিশুর জন্য সাহায্যের আবেদন করেন @ms_mamie89 নামে এক মহিলা অ্যাকাউন্ট হোল্ডার। এর পরে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই পোস্টে লেখা হয়, এই দুই ছোট্ট মেয়ে স্কুলের পড়াশোনার জন্য ট্যাকো বেল রেস্তোরাঁর সামনে রাস্তায় বসে পড়ছে। কারণ, সেখানে ফ্রি ওয়াইফাই কানেকশন পাওয়া যায়। এর সঙ্গেই বলা হয়, এখন যে সময় চলছে তাতে প্রিস্কুল থেকে কলেজ সব স্তরের পড়ুয়াদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই-এর ব্যবস্থা করা উচিত। সবাই মিলে এর উদ্যোগ নেওয়া উচিত যাতে কারও ওয়াইফাই কানেকশনের মতো সামান্য জিনিসের অভাব না হয়।
এর পরেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নজরে পরে স্থানীয় প্রশাসনের। মন্টেরে শহরের সুপারভাইজার লুইস অ্যালেজো দাবি তোলেন, কালিফোর্নিয়ার সব পড়ুয়ার ইন্টারনেটের অভাব দূর করতে হবে। সবার জন্য চাই ব্রডব্যান্ড কানেকশন।
জানা গিয়েছে, লুইস অ্যালজোর টুইটের পরেই স্যালিনার শিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়। ছবির ওই দুই শিশু যাতে রাস্তার বদলে বাড়িতে বসেই অনলাইন ক্লাস করতে পারে তার জন্য ওয়াইফাই হটস্পট-এর ব্যবস্থা করে শিক্ষা দফতর। ওই দুই পড়ুয়ার স্কুলের পক্ষে জনসংযোগ আধিকারিক রিচার্ড গেবিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা জানি, এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। স্যালিনা শহরেই অনেক বাড়ি, অনেক অভিভাবক আছেন যাঁরা এটাও জানেন না যে কী ভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয় কিংবা হটস্পট ব্যবহার করা যায়।”