
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খানিকটা যেন লাগাম পড়েছে রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণে। সোমবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে প্রকাশিত বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬৭ জন। টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দৈনিক তিন হাজারের ওপর মানুষ সংক্রামিত হওয়ার পরে আজ তিন হাজারের নীচে নামল একদিনে সংক্রামিতের সংখ্যা।
জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের দিকে চোখ রাখলে এদিনও সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এই জেলা থেকেই হয়েছে, ৭০০ জন একদিনে। সেখানে কলকাতা থেকে একদিনে সংক্রামিত ৪৬৫ জন। মৃত্যু অবশ্য কলকাতাতেই সবচেয়ে বেশি হয়েছে, ১৩ জন। তার পরেই উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ১২ জন।
বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ৫৭ জন। এর ফলে রাজ্যে করোনা নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৫১। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেরেও উঠেছেন ৩২৮৫ জন, ফলে রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৯২। এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ আছে ২৭ হাজার ৬৯৪ জনের দেহে। রাজ্যের ডিসচার্জ রেট ৭৮.৪৬ শতাংশ।
জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের দিকে চোখ রাখলে এদিনও সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এই জেলা থেকেই হয়েছে, ৭০০ জন একদিনে। সেখানে কলকাতা থেকে একদিনে সংক্রামিত ৪৬৫ জন। মৃত্যু অবশ্য কলকাতাতেই সবচেয়ে বেশি হয়েছে, ১৩ জন। তার পরেই উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ১২ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার পরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, ১৫৮। তার পরেই আছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই দুই জেসায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৪ ও ১৩৪। তার পরেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুরুলিয়া ও আলিপুরদুয়ার। এই দুই জেলাতেই গত কয়েক দিনের তুলনায় আচমকা একধাক্কায় বেড়েছে সংক্রামিতের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫ করে। উত্তরবঙ্গের আরও এক জেলা দার্জিলিংও পিছিয়ে নেই, সেখানে সংক্রামিত ১০৯ জন।
একটানা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে আজ অনেক দিন পরে একটিও সংক্রমণ মেলেনি ঝাড়গ্রাম জেলায়। এ জেলা প্রথম থেকেই রাজ্যের মধ্যে গ্রিন জোনের তালিকায় ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিনই খোঁজ মিলতে থাকে সংক্রমণের। শূন্য থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২-এ পৌঁছেছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ আছে ৫৮ জনের দেহে। আজ সেখানে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা শূন্য।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট করোনা টেস্ট হয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৭। এর ফলে রাজ্যে মোট টেস্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫৭৮। ৭০টি ল্যাবে হচ্ছে পরীক্ষা, ৮৭টি হাসপাতালে হচ্ছে চিকিৎসা।