
সেদিকেই নাকি ইঙ্গিত করছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মা! দিন কয়েক ধরে অলৌকিক শক্তি বিশেষজ্ঞ স্টিভ হাফ নাকি যোগাযোগ করছেন অভিনেতার সঙ্গে। তাঁর মৃত্যু রহস্যে আলো ফেলার জন্য। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, স্টিভের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ‘কাই পো চে’ স্টারের আত্মা! পুরো ঘটনার সাক্ষী সঙ্গিনী ডেবি।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্নে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, মৃত্যুই কি তাহলে সব শেষ নয়? আত্মা সত্যিই অবিনশ্বর? প্রয়াত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘দেবযান’ উপন্যাসে যে সব প্রশ্নের খোঁজ করেছিলেন একুশে দাঁড়িয়ে তারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছেন স্টিভ।
সুশান্তের অসংখ্য অনুরাগী, যাঁরা প্রতি মুহূর্তে অভাব অনুভব করছেন প্রয়াত অভিনেতার, তাঁদের তিনি সুশান্তের অতিপ্রাকৃত গলা শুনিয়েছেন তিনটি ভিডিয়োয়। যেখানে মৃত্যুর আগের, পরের অবস্থান নিয়ে নাকি মুখ খুলেছেন সুশান্ত। নেটাগরিকেরা স্বাভাবিক ভাবেই মারাত্মক আগ্রহ নিয়ে দেখছেন ভিডিয়োগুলি। চোখের জলে ভাসতে ভাসতে স্টিভের কাছে তাঁদের অনুরোধ, মৃত্যু রহস্য ফাঁস না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন এভাবেই কথা বলেন মাত্র ৩৪-এ ফুরিয়ে যাওয়া প্রতিভার সঙ্গে।
মৃত্যুর পরে কেমন শুনতে লেগেছে সুশান্তের কণ্ঠ? নিজের মৃত্যু নিয়ে, মৃত্যু পরবর্তী অবস্থান নিয়ে অনুরাগীদের কী জানিয়েছেন তিনি?
স্টিভের তিনটি ভিডিয়ো বলছে, শরীর থেকে আত্মা মুক্ত হতেই নাকি সুশান্তের চারপাশে ঝলমলে আলো। অন্ধকারের লেশমাত্র নেই। স্টিভ এরপরেই জানতে চান, সবার একটাই প্রশ্ন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন হয়েছেন? উত্তরে তিনি শুধুই বলেছেন, ‘দ্য নেক’ বা ‘ঘাড়’।
মৃত্যুর আগে তাঁর কাছে কেউ ছিলেন কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে সুশান্ত নাকি বলেছেন, কয়েক জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছিলেন মৃত্যুর ঠিক আগে। তাদের সঙ্গে নাকি গজাল জাতীয় পেরেক আর ফাঁস বা দড়ি ছিল! এবং তারা এখন এতটাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে যে তাদের শাস্তি দেওয়া খুবই কঠিন।
তৃতীয় ভিডিয়োয় সুশান্তের আত্মার দাবি, তিনি এখন তাঁর মায়ের খুব কাছাকাছি রয়েছেন। এবং তিনি নাকি দুটো ডানা পেয়েছেন অবাধ গতিবিধির জন্য!
স্টিভের এই সেশন আগামী দিনেও চলবে কিনা জানা যায়নি। তবে সুশান্ত অনুরাগীদের মিনতি, তাঁরা এভাবেই সুশান্তের কাছাকাছি থাকতে চান। সুশান্তের গলার স্বর শুনেই আপাতত তৃপ্ত তাঁরা। অনেকেই সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বাবা কে কে সিংহের কথা বলিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন স্টিভকে। ভক্তদের মতে, ছেলের গলা শুনে কিছুটা হলেও মানসিক দিক থেকে শান্তি পাবেন অশীতিপর বৃদ্ধ।