নিজস্ব প্রতিনিধি : মালদা: ভোটের মুখে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে দক্ষিণ ভারত গামী ট্রেনের স্টপেজ দিতে এসে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সাংসদ খগেন মুর্মু।এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এনজিপি থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল যাওয়ার জন্য এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সাংসদের উপস্থিতিতে স্টপেজের উদ্বোধন করার কথা ছিল। শনিবার বিকেল বেলা অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদ প্রবেশ করা মাত্রই ব্রহ্মপুত্র ও পদাতিক এবং লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় হরিশ্চন্দ্রপুর এর বাসিন্দারা। এদিন খগেন মুর্মু মঞ্চে প্রবেশ করার মুখে এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন। তারা পদাতিক ব্রহ্মপুত্র স্টপেজেরসহ লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে খগেন মুর্মু কে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে রেলওয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। স্টপেজ ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সংসদ খগেন মুর্মু, হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিধায়ক মুস্তাক আলম, ডিআরএম আর কে বার্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সাংসদ খগেন মুর্মু বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সব টেনের জন্য সব স্টপেজ দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও তিনি চেষ্টা করবেন আজ যেমন দক্ষিণ ভারত গামী ট্রেনের স্টপেজ হরিশ্চন্দ্রপুর এ দেওয়া হয়েছে তেমনই বাকি ট্রেন গুলির মধ্যে বেশ কতগুলো স্টপেজ দেওয়া যায় কিনা। তবে সেটা এলাকাবাসী বিক্ষোভ আকারে না পেশ করে লিখিত আকারে পেশ করলে বরঞ্চ ভালো হতো। স্টপেজ ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সংসদ খগেন মুর্মু, হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিধায়ক মুস্তাক আলম, ডিআরএম আর কে বার্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ডিআরএম রবীন্দ্র কুমার বর্মা বলেন,” আজকের দিনটি হরিশ্চন্দ্রপুর বাসীর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। এবার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি চেন্নাই সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস এর স্টপেজ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে দেওয়া হবে। ভারত সরকারের রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” ব্রহ্মপুত্র এবং পদাতিক মেলের স্টপেজ নিয়ে তিনি বলেন,” হঠাৎ করে সব ট্রেনের স্টপেজ বাড়ানো যায় না। এতে করে প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়। দুই,তিন বছরের মধ্যে অটোমেটিক সিগন্যাল ব্যবস্থা এলে তখন আরো বেশি ট্রেনের স্টপেজ বাড়ানো যাবে।” বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সুমিত জিন্দাল জানান আমরা দীর্ঘদিন ধরে দিনের বেলা এনজিপি এবং দিনের বেলা কলকাতা সহ ব্রহ্মপুত্র ও এবং পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো দাবি কর্ণপাত করছেন না। তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি। তারপরে সাংসদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে উনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো উনি বিবেচনা করে দেখবেন। এদিকে ভোটের মুখে ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন রাজনীতি করছে বিজেপি এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট মানিক দাস জানান ব্রহ্মপুত্র,পদাতিকের স্টপেজের ব্যাপারে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ তিনি সমর্থন করেন। উনি জানান করোনা লকডাউন এর সময় সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। এখন স্টপেজের নামে রাজনীতি করতে এসেছেন, এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত।