
ব্যুরো: বড় সংখ্যক কনট্র্যাকচুয়াল লেবার বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক বা ঠিকাকর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএনএল। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে কর্মী ইউনিয়ন। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে আরও একবার ভেবে দেখুন কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে মুখোমুখি বসে আলোচনা হোক শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষের। কিন্তু এ বিষয়ে সবুজ সংকেত মেলেনি।
সম্প্রতি বিএসএসএলের কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে সংস্থার চেয়ারম্যান পিকে পুরওয়ারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রেখে। আবেদন করা হয়েছে শ্রমিকদের কথা ভেবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অবিলম্বে আলোচনা করা হোক ছাঁটাই নিয়ে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২০ হাজার ঠিকাকর্মীকে কাজ ছাড়তে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা ৫০ হাজারের কম হবে না।
চিঠিতে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের একটি বড় অংশকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করছে বলে বাদ দিতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ, কিন্তু কোম্পানির রাজস্ব আদায়ের জন্য এই শ্রমিকদের ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের কাজ থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
চিঠির পাশাপাশি, দিন চারেক আগে বিএসএনএল-এর প্রায় ২০০০ জন ঠিকাকর্মী কলকাতার ডালহৌসিতে ক্যালকাটা টেলিফোন ভবনে অভিযানও চালান। একাধিক ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চের ডাকে এদিনের এই বিক্ষোভ অভিযানে ঠিকাকর্মীরা গত ১৬ মাসের বকেয়া বেতন আদায়ের দাবি রাখেন।
যদিও এদিন টেলিফোন ভবনের মূল ফটক আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়, নীচের তলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা হলেও তাতে কোনও ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ, দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন মেটানো নিয়ে ক্রমাগত টালাবাহানা চালিয়ে গেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঠিকাকর্মীদের চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে তাঁরা অতিসক্রিয়। বিক্ষোভকারীদের কথায়, “গত ১৬ মাস ধরে আমাদের ৪৮৬২ জন কর্মী বেতন পাচ্ছেন না, ১৩ জন কর্মী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের পাশে মালিক পক্ষের কেউ দাঁড়াননি। এখনও বহু কর্মী ডিউটি করে চলেছেন বিনা মাইনেতে। এই অবস্থায় আরও জোরদার আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবো আমরা।”