
সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হল। জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট (এইচআইসিডিপ)-এর মাধ্যমে ওই মন্দির সংস্কারের জন্য টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলাদেশের নাটোর জেলায় ৩০০ বছরের প্রাচীন কালী মন্দিরের সংস্কার শুরু হল। আর সেই সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের সিংহভাগই দেবে ভারত। জানা গিয়েছে, শ্রী শ্রী জয় কালী মাতার মন্দির সংস্কারের জন্য মোট ১.৩৩ কোটি বাংলাদেশি টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ৯৭ লাখ বাংলাদেশি টাকা দেবে ভারত।
সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হল। জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট (এইচআইসিডিপ)-এর মাধ্যমে ওই মন্দির সংস্কারের জন্য টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন সংস্কারের সূচনা উপলক্ষে হওয়া ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন, ভারতীয় হাই কমিশনার ঋভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস, বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী জুনিয়াদ আহমেদ পালক, সেদেশের সাংসদ শফিকুল ইসলাম এবং নাটোরের মেয়র উমা চৌধুরি জলি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত হাই কমিশনার ঋভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস বলেন, এই সংস্কারের পরে আগামী দিনেও ভারত এই ধরনের কাজে প্রতিবেশী বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই শ্রী শ্রী জয় কালী মাতার মন্দির সংস্কার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভারত খুশি। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় ভবিষ্যতেও ভারত এগিয়ে আসবে।” ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী জুনিয়াদ আহমেদ পালক বলেন, “নাটোরকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আগামী দিনেও বন্ধু প্রতিবেশী দেশ ভারত এভাবেই আমাদের পাশে থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
নাটোরের এই শ্রী শ্রী জয় কালী মাতার মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় অষ্টাদশ শতকে। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন দিঘপতিয়া রাজ পরিবারের দেওয়ান শ্রী দয়ারাম রায়। রানি ভবানীর দেওয়ান ছিলেন তিনি। এই মন্দির চত্বরে শিবেরও পুজো হয়। শিবের মন্দিরও রয়েছে সেখানে। এছাড়াও প্রতি বছর এই মন্দির প্রাঙ্গনে খুব ঘটা করে দুর্গাপুজো হয়। শুধু এই মন্দিরই নয়, বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মন্দির ও শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী মাতা মন্দির সংস্কারের ক্ষেত্রেও আর্থিক সাহায্য করছে ভারত।