
প্রতিনিধি, পূর্ব বর্ধমান: বাইক চুরি চক্রের আরও একজনকে গ্রেফতার করল জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ইমরান শেখ। নদিয়ার চাপড়া থানার ফুলবাড়িতে তার বাড়ি। বুধবার রাতে জামালপুর থানার জৌগ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। আরও বাইক উদ্ধারের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে এবং চক্রের বাকিদের হদিস পেতে ইমরানকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। তাকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিজেএম।
দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ দিন রাহুল মণ্ডল ও বুলবুল মণ্ডলকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে রবিবার তাদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক। কিছুদিন আগে জামালপুর থানার জৌগ্রামের হাটতলার বাসিন্দা রিঙ্কু দাসের বাইকটি চুরি হয়ে যায়। বাইকটি বাড়িতে রাখা ছিল। রাতে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে দরজার তালা ভেঙে বাইকটি নিয়ে পালায় চোর।
পরের দিন সকালে বাইক চুরির বিষয়টি জানতে পারেন রিঙ্কু। সেদিনই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিস রাহুল ও বুলবুলকে গ্রেফতার করে। নদিয়ার ধুবুলিয়া ও করিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের বাড়ি। কিছুদিন আগে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার একটি মামলায় নদিয়ার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে জামালপুরের বাইক চুরির মামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা জানা যায়।
নদিয়ার সংশোধনাগারে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন জামালপুর থানার তদন্তকারী অফিসার। জিজ্ঞাসাবাদে বাইক চুরিতে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এরপরই তাদের গ্রেফতার দেখায় জামালপুর থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করে তাদের পাঁচদিন হেফাজতে নেয় পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। পরে তাদের নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে জামালপুরের সেলিমাবাদ থেকে দু’টি চোরাই বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। নদিয়ার চাপড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রোপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চুরি করা বাইক তারা পাচার করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।