প্রয়াত রঘুবংশ প্রসাদ সিং, শুক্রবার লালুর দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ব্যুরোঃ বিহারের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রঘুবংশ প্রসাদ সিং প্রয়াত।রবিবার সকালে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। গত শুক্রবার এইমস-এর বেডে শুয়েই কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রীয় জনতা দল প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের কাছে পাঠিয়েছিলেন রঘুবংশ প্রসাদ। ৩২ বছর আরজেডি করার পরে ইস্তফার কথা বলেন তিনি। তার দু’দিন পরেই মারা গেলেন এই বর্ষীয়ান নেতা।

জুন মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন রঘুবংশ। তারপরে পটনার এইমসে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল রঘুবংশকে। সেখানে কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা চলছিল তাঁর। গত কয়েক দিন থেকে হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় রঘুবংশের। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয় প্রবীণ এই নেতাকে। কিন্তু তাতেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিন বিহারের পেট্রোলিয়াম প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলার সময় প্রয়াত এই নেতাকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “রঘুবংশ প্রসাদ সিং আজ আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর মৃত্যু বিহার তথা দেশের রাজনীতিতে এক শূন্যস্থান তৈরি করল।”

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রঘুবংশকে। টুইটে তিনি বলেন, “রঘুবংশ প্রসাদ সিংয়ের মৃত্যু খুবই দুঃখের। একজন অসামান্য নেতা, যনি সবসময় নিজের শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, ভারতীয় রাজনীতি বিশেষ করে গ্রামীন ভারতের জন্য রঘুবংশবাবুর অবদান ভোলার নয়। তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপনের জন্য তিনি মানুষের খুব কাছের লোক ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

গত শুক্রবার এইমস থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে একটি চিঠি লিখে বহুদিনের সঙ্গী লালুপ্রসাদ যাদবকে নিজের ইস্তফার কথা জানান রঘুবংশ। চিঠিতে তিনি লেখেন, “কর্পুরী ঠাকুরের মৃত্যুর পর থেকে ৩২ বছর আপনার পাশে থেকেছি। কিন্তু আর না।” অবশ্য এই চিঠি লেখার পরেও তাঁর ইস্তফার কথা স্বীকার করেননি আরজেডি প্রধান। জবাবী চিঠিতে লালুপ্রসাদ বলেন, “আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আগে আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন। তারপরে আমরা কথা বলব। আপনি কোথাও যাচ্ছেন না। আমি জানি।” সেই সুযোগ আর পেলেন না বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ।

এদিন রঘুবংশের মৃত্যুর পরে একটি টুইট করে লালুপ্রসাদ বলেন, “স্নেহের রঘুবংশবাবু। আপনি কী করলেন? আমি পরশু আপনাকে বলেছিলাম আপনি কোথাও যাচ্ছেন না। কিন্তু আপনি এত দূরে চলে গেলেন। আমি বাকরুদ্ধ। আপনাকে খুব মিস করব।”

ইউপিএ-১ জমানায় বিহারের বৈশালী কেন্দ্র থেকে জিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছিলেন রঘুবংশ প্রসাদ সিং। পরবর্তীকালে পশুখাদ্য ও ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। চার দশক ধরে রাজনীতিতে থাকা রঘুবংশ প্রসাদ ভারতের গ্রামীণ ও কৃষির উন্নতির জন্য অনেক কিছু করেছিলেন। ১০০ দিনের কাজ তাঁর সময়েই শুরু হয়। বিহারের নির্বাচনের ঠিক আগেই এই মাপের একজন নেতাকে হারানোয় স্বভাবতই যে কিছুটা ক্ষতি হল আরজেডির তা