নিজের মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত, বারুইপুর সংশোধনাগারে আত্মঘাতী বিচারাধীন বন্দি

ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো: নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল খোদ বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। তার ভিত্তিতে শনিবার তপন ভাঙর নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পরে ধৃতকে বারুইপুর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় শনিবার বিকেলে। ওই রাতেই সেই সংশোধনাগারের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, অপমানের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বোড়াল নতুনহাট কাজিপাড়ার বাসিন্দা তপন ভাঙর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, নিজের মেয়েকেই দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন তিনি। বিগত দুবছর ধরে এমনটা চলেছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা। তার দাবি, এ কথা কাউকে না জানানোরও হুমকি দেয় বাবা। বাবার ভয়েই সে কাউকে ঘটনাটির কথা বলতে পারেনি।

একসময়ে নির্যাতিতা মেয়েটি বাবার এই অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজের পিসির কাছেই সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এর পরেই নির্যাতিতার পিসি নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃতকে বিশেষ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এর পরে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ শনিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর সংশোধনাগারে পাঠায়। সেখানেই শনিবার রাতে সকলের অলক্ষ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অভিযুক্ত তপন।