নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গল ওয়াজ : কালী পুজোর সন্ধ্যায় নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর নিবেদিতা পল্লীতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ফলে গৃহহীন হয়েছেন বেশকিছু পরিবার। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আজ সেই জায়গা পরিদর্শন করলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। গৌরাঙ্গনগর নবীন চন্দ্র প্রাথমিক স্কুলে যান গৃহহীন অসহায় পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে। গৃহহীন অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী এবং জামা কাপড় গামছা লুঙ্গি, তেল, সাবান তুলে দেন তিনি। অগ্নিমিত্রা পাল জানান…. ২১ পরিবারের ঘর পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে। আমি ওখানেও গিয়েছিলাম একদম ধূলিসাত হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার কিছু সামান্য টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রথমে পাঁচ হাজার টাকা তারপর ৩৫ হাজার টাকা। আপনারা বলুন ৩৫ হাজার টাকায় আজকালকার দিনে কি হয়। যাদের পরিবারে পাঁচ সাতজন রয়েছেন তারা ৩৫ হাজার টাকায় খাবে নাকি বিছানা কিনবে না বাড়ি বানাবে। সুতরাং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে খুব একটা আশা নেই। ১০ বছরে কিছুই তো ওনারা দিতে পারেননি। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে চেষ্টা করছি যদি কিছু সাহায্য আমরা নিজেরা করতে পারি। কিছু শাড়ি, শুকনো খাবার, সাবান টুথপেস্ট, মুড়ি বিস্কুট কেক বাচ্চাদের জন্য দেওয়া হচ্ছে। ছেলেদের জন্য লুঙ্গি, তোয়ালে, গামছা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২১টা পরিবারের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কথা বলে। কতদিন তারা স্কুলের মধ্যে বাচ্চা নিয়ে শতরঞ্চির মধ্যে শুয়ে। বাড়িটা যাতে তাড়াতাড়ি হয় সেই চেষ্টা করছি। রাজ্য সরকারের চেক বন্টন নিয়ে অভিযোগ তুলে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন….. এখানে কিছু কিছু পরিবারকে চেক দেওয়া হয়েছে তিন করে-চারটি করে চেক। ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। কিন্তু অনেকে চেক পাননি। কেন সেই পরিবার চেক পেলে না। কেন কোনো কোনো পরিবার তিন- চারটে করে চেক পেল এটা খুব মিস্ট্রিয়াস ব্যাপার। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেনকে নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসা করব। দাদা কেন এরকম ভাবে চেকটা দেওয়া হল। এর মধ্যে আবার তৃণমূলের কোনো কারসাজি আছে কি না। যেটা তৃণমূল সবসময় করে এসেছে। আরো একটু টাকা বেশি দিলে ভালো হত। এই জন্যই এখানে আসা তাদের পাশে থাকতে।