দিল্লির মেট্রো স্টেশনে উদ্ধার ৪ ফুট লম্বা কোবরা, ছাড়া হল জঙ্গলে

লকডাউনের মধ্যে বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। আর তাই কিনা মেট্রো স্টেশনে বাস শুরু করেছে কোবরা। সম্প্রতি এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে দিল্লির সাকেত মেট্রো ডিপোতে। একটি এনজিও কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার করেন সেই কোবরাকে।

শনিবার এই ঘটনা দেখা যায়। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। তাই দিল্লির বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে শুরু হয়েছে নজরদারির কাজ। পরিষেবা শুরু করার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়েই দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্মীরা ওই কোবরা দেখতে পান।
সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা খবর দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস নামের একটি এনজিওকে খবর দেয়। সেখানকার কর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে আসেন।

দিল্লির মেট্রোর তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “একটি চার ফুট লম্বা কোবরা দেখতে পান দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্মীরা। সাকেত মেট্রো ডিপোর গেটের কাছে সাপটিকে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। ওয়াইল্ডলাইফ এসওএসকে খবর দেওয়া হয়।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “ওয়াইল্ডলাইফ এসওএসের কর্মীরা এসে সাপটিকে সাবধানে উদ্ধার করেন। কোবরার মতো একটা বিষধর সাপকে খুঁজে ধরার জন্য দক্ষ কর্মীর দরকার ছিল। সেইরকমই দক্ষ দুই কর্মী এসেছিলেন। এই ধরনের সাপকে ধরার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাপটিকে শান্ত রাখা ও অন্যান্যদের সাপের থেকে দূরে রাখা। সবকিছুই বজায় রেখে কাজ করা হয়েছে।”

ওয়াইল্ডলাইফ এসওএসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কার্তিক সত্যনারায়ণ জানিয়েছেন, “ভারতে যেসব সাপ দেখা যায় তাদের মধ্যে সবথেকে বিষধর এই কোবরা। যদিও এই সাপ খুব কমই কামড়ায়। কোবরা ছোবল মারার আগে একটা সঙ্কেত দেয়। তাই দক্ষ কর্মীদের দরকার হয়। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে এই সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ।”

এনজিওর ডেপুটি ডিরেক্টর স্পেশ্যাল প্রজেক্টস ওয়াসিম আক্রম জানিয়েছেন, “২৪ ঘণ্টা আমাদের এনজিও কাজ করে। যখনই দরকার পরে সাহায্যের জন্য আমরা পৌঁছে যাই। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব এই কাজে আমাদের সমর্থন করতে। কোনও রকমের অবস্থার সৃষ্টি হলে আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।”

কয়েক দিন আগেই সাকেত মেট্রো স্টেশন থেকেই একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছিলেন এই এনজিওর কর্মীরাই। ওখলা বার্ড স্যাংচুয়ারি মেট্রো স্টেশন থেকে আরও একটি কোবরা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা।