দিনে ফেরিওয়ালা, রাতে চোর, শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে ভিন রাজ্যের দুই অপরাধী

বিহারের পাটনা সিটি এলাকায় ২০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। তারও আগে ৩ কিলো সোনা চুরি করে ধরাও পড়েছিল মাণিকজোড়। থানার লকআপ কেটে সেবারের মতো চম্পট দেয় এই দুই দুষ্কৃতী। শেষমেশ এই মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী যুগলকে ধরতে সক্ষম হল এ রাজ্যের পুলিশ। বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ইকোপার্ক থানার যৌথ চেষ্টায় নিউটাউন ইকোপার্ক এলাকার হাতিয়ারা এলাকা থেকে এই দুই অপরাধীকে ধরা হয়।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, অগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে হাতিয়ারা এলাকাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে এই দুজন। ফেরিওয়ালার ভেক ধরে প্লাস্টিকের জুতো বিক্রি করার ছুতোয় আশেপাশের এলাকা ঘুরে ঘুরে রেইকি করতো এরা। এদের সঙ্গে স্থানীয় এক অপরাধীরও সখ্য গড়ে ওঠে। এলাকায় যে যে বাড়ি ফাঁকা পেত সেখানেই রাতের বেলায় ঢুকে যথাসর্বস্ব চুরি করত এই তিনজন। শেষপর্যন্ত এই তিন অপরাধীকেই ধরতে সক্ষম হয়েছে এ রাজ্যের পুলিশ। ধৃতরা হল : বিকাশ কুমার (পাটনা), ছোট্টু মাহাতো (পাটনা), আর ছোট্টু দাস (হাতিয়ারা)।

পুলিশ সূত্রে খবর ,গত মাসে ইকোপার্ক থানা এলাকার নোয়াপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে চুরি হয়। সেই ঘটনায় ইকোপার্ক থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্তে নামে বিধাননগর কমিশনারেট এর গোয়েন্দা শাখার পুলিশও। তদন্ত চলাকালীন ওই ফ্ল্যাটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন পুলিশ অফিসারেরা। ফুটেজের সূত্র ধরে খোঁজখবর চালিয়ে এরপর শনিবার রাতে এই তিনজন অপরাধীকে ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা চুরির কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

শনিবার রাতে জেরার মুখে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ভিন রাজ্যের ওই দুজন অপরাধীকে জেরা করে তারা জানতে পারেন গত ১৪ ই আগস্ট ২০২০ তারিখে পাটনা সিটি এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২০ লাখ টাকার সোনা চুরি করে এই রাজ্যে পালিয়ে এসেছিল তারা। সেই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। তারও আগে পাটনা এলাকায় ৩ কিলো সোনাসহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে তারা। কিন্তু সেবারও থানার লকআপ ভেঙে প্রায় সিনেমার কায়দায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে শুরু করার পরও তাদের অপরাধপ্রবণতা কমেনি।

রোববার সকালেই ধৃতদের বারাসত কোর্টে তোলা হবে বলেবিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।