
প্রতিনিধি : তাঁর বাবা বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেওয়ার পরও দু’বছর তিনি ছিলেন তৃণমূলে। বারবার বলতেন, “বাবা যাই করুন, আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার নেতা অভিষেক!”
কিন্ত সেই মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু উনিশের লোকসভার পরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর তার বিজেপিতে যাওয়ার কারণ নিয়ে গতকাল বিজেপির ফেসবুক পেজের একটি সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের জ্বালমুখ খুলে দিয়েছেন বীজপুরের বিধায়ক।
মুকুলবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যে দু’বছর তিনি তৃণমূলে ছিলেন সেই সময়ে তাঁকে কী কী সইতে হয়েছে সে কথা বলতে গিয়ে দৃশ্যতই ফুঁসছিলেন হাপুন। তাঁর বক্তব্য, বাবা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কাঁচড়াপাড়ার বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করেছিল তৃণমূল। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আমার পরিবারকে এই সব সহ্য করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “দিনের পর দিন আমায় মঞ্চে বসিয়ে আমার বাবাকে গদ্দার বলে আক্রমণ করা হয়েছে। যাঁরা আমার বাবাকে গদ্দার বলেছেন তাঁদের বাংলা ছাড়া করতেই বিজেপিতে এসেছি।”
শুধু তাই নয়, বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে রামচন্দ্রের বনবাসেরও উদাহরণ টানেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়, “বাবার ইচ্ছেতেই রামচন্দ্র বনবাসে গিয়েছিলেন!” বুঝিয়ে দেন তিনি তাঁর বাবার ইচ্ছেতেই পদ্মশিবিরে সামিল হয়েছেন।
তবে নরেন্দ্র মোদীর বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে তিনি যে আগেই বিজেপির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন সে কথাও গোপন করেননি শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়, “এমন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী ভারতবর্ষ আগে কখনও দেখেনি।”
তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে বিধায়ক হিসেবে কোনও কাজ করতে.পারছেন না বলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। মুকুল রায়ের ছেলে বলেন, “অদ্ভুত অরাজকতা চলছে। আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। আবার নিজেরাও কাজ করছে না। বাংলার মানুষ এই অপশাসন থেকে.মুক্তি চায়।”
যদিও শুভ্রাংশুর এহেন কথা শুনে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “উনি দু’বার বিধায়ক হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি.দেখিয়ে। সাহস থাকলে বাবার ছবি.নিয়ে দাঁড়াক, একুশে বীজপুরের মানুষ বুঝিয়ে ছাড়বে কত ধানে.কত চাল।”