
কলকাতা: ব্যবসায়ীদের কাছে গ্রাহকরা ভগবানতুল্য। কিন্তু লেকটাউনের শ্রীভূমির বাসিন্দা ৫৬ বছর বয়সি রাজারাম শর্মার কাছে তেমনটা নয়।
রাজারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার দোকানের এক মহিলা গ্রাহককে নিজের মোবাইল থেকে অশ্লীল ভিডিও পাঠানোর। বেশ কয়েক মাস আগে এই ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত রাজারাম। তারপর পুলিশ ও জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। জাতীয় মহিলা কমিশন এরকম গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরই লালবাজারকে ব্যবস্থা নিতে বলে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানের চিঠি পেয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা মামলা রুজু করে। এ ঘটনায় অবশেষে বুধবার লেকটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত রাজারাম শর্মাকে।
যে মোবাইল থেকে ওই অশ্লীল ভিডিও পাঠানো হয়েছিল তরুণীকে, প্রমাণস্বরূপ সেটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইলটিকে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠাবে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা তদন্ত শুরু করি। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ও আইপি অ্যাড্রেস মাধ্যমে ট্র্যাক করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করার পর থেকেই বিভিন্ন সময় অসঙ্গতিপূর্ণ জবাব দিচ্ছে অভিযুক্ত।”
এদিন সকালে রাজারামকে গ্রেফতার করার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে সাইবার থানার পুলিশ। আদালতে সরকারি আইনজীবী বিচারককে জানান, রাজারাম নিজের মোবাইল থেকেই পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাঠিয়েছে ওই তরুণীকে। তাই তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করে, রাজারামের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাই এই কাজ করেছে। মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে তার স্বপক্ষে কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজও আদালতে পেশ করে আইনজীবী। আইনজীবীর দাবি, ভুলবশত তার মোবাইল থেকে অশ্লীল ভিডিও চলে গিয়েছিল ওই তরুনীর মোবাইলে। যা বুঝতে পারার পর রাজারাম ভিডিওটিকে মুছে ফেলেন।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ব্যাংকশাল আদালতের বিচারক এদিন অভিযুক্তকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে