জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল পরীক্ষার সাতদিনের মধ্যে ঘোষণা হয়ে গেল, ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট

মাত্র সাত দিনের মধ্যে এনটিএ যে রকম দ্রুততায় ফল প্রকাশ করল তা অবাক করার মতোই।

 ব্যুরো:  পরীক্ষার সাত দিনের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে দিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তথা এনটিএ।
এনটিএ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজাল্ট জানতে পারবেন। ওই ওয়েব অ্যাড্রেস হল- jeemain.nta.nic.in ।

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই গত ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষা হয়েছিল। এনটিএ জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে এবং চলতি মাসে দুটি রাউন্ডে যে জেইই মেইন পরীক্ষা হয়েছে তাতে ২৪ জন পরীক্ষার্থী ১০০ পারসেন্টাইল স্কোর করেছেন।

মাত্র সাত দিনের মধ্যে এনটিএ যে রকম দ্রুততায় ফল প্রকাশ করল তা অবাক করার মতোই। পরশু রবিবার আবার সর্বভারতীয় স্তরে নিট পরীক্ষা হবে। পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এবারের নিট পরীক্ষায় বসবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পরীক্ষা হলে ঠিকমতো পৌছোতে পারে সে জন্য সরকারি বাস ইত্যাদির ব্যবস্থা করছে সরকার।

করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল একাধিক ছাত্র সংগঠন। কিন্তু  কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড চলে এসেছে। সেই অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডও করে ফেলেছেন কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক বলেছিলেন,  ১৭ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন। এর থেকেই প্রমাণিত পরীক্ষা দিতে কতটা মরিয়া পরীক্ষার্থীরা। তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া আর সম্ভব নয়। বরং নির্ধারিত সময়সূচীতেই সব সুরক্ষাবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা দিয়েছেন ৮ লাখ ৫৮ হাজার পরীক্ষার্থী, নিট পরীক্ষায় বসছেন ১৫ লাখ ৯৭ হাজার জন। পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য জয়েন্টে কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬০ করা হয়েছিল। নিট পরীক্ষার কেন্দ্র ২৫৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৩৮৪২ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তাঁদের সুযোগ সুবিধা মতোই পরীক্ষাকেন্দ্র বেছে নিতে পেরেছেন।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের ছ’টি রাজ্য। এই ছটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও পুদুচেরি। রাজ্যগুলির আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দেওয়া হল পরীক্ষা হবেই। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছিল, করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণেই এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।