
: লকডাউনের মধ্যেই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে শনিবার সকালে নিহত হলেন এক রেল আধিকারিকের স্ত্রী ও ছেলে।
লখনউয়ের গৌতম পল্লী এলাকা ২৪ ঘণ্টা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকে। তার কারণ এই এলাকাতেই উত্তরপ্রদেশে সরকার ও প্রশাসনের ভিভিআইপিদের বাড়ি। প্রসঙ্গত, শনিবার এই জোড়া খুনের ঘটনা যে এলাকায় ঘটেছে তার অদূরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারি বাসভবন।
কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে উত্তরপ্রদেশে শনি ও রবিবার পুর লকডাউন থাকে। লকডাউনের মধ্যেই এদিন সকালে রেল আধিকারিকের ৪৯ বছরের স্ত্রী ও ২০ বছরের ছেলেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে ওই রেল আধিকারিকের নাম আরডি বাজপেয়ী। তিনি আপাতত দিল্লিতে কর্মরত।
এই জোড়া খুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে ও রাজ্য পুলিশের ডিজি এইচসি অওয়াস্থি। নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কুকুরও।
সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনার সময় রেল আধিকারিকের মেয়েও উপস্থিত ছিলেন। তিনিই খবর দেন বাড়ির পরিচারককে তারপর ওই পরিচারকের মাধ্যমে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুনের মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনা নিয়ে লখনউ পুলিশের থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কখন কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল সে ব্যাপারে রেল আধিকারিকের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে ফের একবার যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কংগ্রেস থেকে সমাজবাদী পার্টি—প্রায় সব বিরোধী দলই যোগী সরকারের রাজত্বে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দেগেছে। তাদের বক্তব্য, এই এলাকা লখনউয়ের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে পরিচিত। ভিভিআইপিদের বাস এই মহল্লায়। প্রতিটি রাস্তা সিসিটিভি দিয়ে মোড়া। সেই এলাকায় যদি এমন সাত সকালে খুনের ঘটনা ঘটে, তাও আবার বাড়ির ভিতরে ঢুকে জোড়া খুন, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কী অরাজকতা চলছে।