
বেঙ্গল ওয়াজ প্রতিনিধি : বন্যার প্রকোপ বাড়ছে রায়গঞ্জে। জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নাগর নদীর জল। ২০১৭ সালে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ার পরে প্লাবিত হয়েছিল রায়গঞ্জ শহর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। জাতীয় সড়কের ধারে বাঁশ পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জের ভাঙাবাড়ি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে নাগর নদীর জল। ফলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
লাকাবাসী জানাচ্ছেন জল ক্রমশ বাড়ছে, স্বাভাবিকভাবেই ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার কথা মনে পড়ছে। ২০১৭ সালে বন্যার শুরুতে এই ভাঙাবাড়িতেই নাগর নদী জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিনই রায়গঞ্জ শহর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় নাগর ও কুলিক নদীর জলে। এবারও যদি জল না কমে, বৃষ্টি যদি আবার হয়, সেক্ষেত্রে রায়গঞ্জ শহর আবারও প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন মানুষজন।
এ দিকে ছমাস ধরে বৃষ্টির জলে ঘরবন্দি। পুরসভা, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় রাস্তায় নামলেন বৃষ্টির জলে বানভাসি হওয়া মানুষজন। মঙ্গলবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের মালঞ্চ পল্লী এলাকায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ।
ইংরেজবাজার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পল্লি, কৃষ্ণ পল্লি, নেতাজি কলোনি, বড় শাকো, গোদরাইল, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাপুজি কলোনির হাজার খানেক পরিবার দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির জলে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন। জমা জলে চলাফেরা করতে করতে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে তাঁদের। পুরসভা, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে তাঁদের অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। প্রথমে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরে মহকুমাশাসক গিয়ে আশ্বস্ত করলে অবরোধ মুক্ত হয় জাতীয়সড়ক। প্রশাসনসূত্রে জানানো হয়েছে, পাম্প দিয়ে জল বের করা হবে। তারপরে নিকাশি সংস্কারে জোর দেওয়া হবে ।