
নাড়ু, মোয়া, ডালের বরফি, জিবে গজা, কুচো নিমকি—-বিজয়ায় এসব নোনতা-মিষ্টির চল তো রয়েইছে। তবে হালফিলে এই সব সাবেকি মিষ্টির সঙ্গে পাল্লা দেয় আধুনিক ঘরানার মিষ্টিও। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল ক্যারামেল পুডিং। ভারিক্কি নাম হলেও বানানো কিন্তু বেশ সহজ।
উপকরণ:-
চিনি- ২০০ গ্রাম
ছোট এলাচ- ২ টি
স্লাইস পাঁউরুটি- ৪ পিস।
প্রণালী:
ভালো করে দুধ জাল দিয়ে তা থেকে এক কাপ তুলে নিন। একটা বাটিতে কাপের দুধ ঢেলে তাতে পাঁউরুটির ধার বাদ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। বাকি দুধ জাল দিতে বসিয়ে তাতে চিনি ঢেলে দিন।এলাচের খোলা বাদ দিয়ে দানাগুলো দুধে ফেলে ফোটাতে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে নেবেন।এরপর দুধে ভেজানো পাঁউরুটির টুকরোগুলো হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। চাইলে মিক্সির ছোট বাটিতে ২ সেকেন্ড ঘুরিয়ে নিতে পারেন। এ বার ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে ওই পাঁউরুটির মিশ্রণ ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন যাতে নীচে লেগে না যায়। দুধ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
আলাদা একটা পাত্রে ভালো করে ডিম ফেটিয়ে নিন। এ বার ডিমের মিশ্রণ ওই পাঁউরুটি এবং দুধের মধ্যে মিশিয়ে আবার ভালো করে ফোটাতে হবে যাতে বাবলস দেখা যায়। তবে ডিম মেশানোর আগে খেয়াল করে নেবেন যাতে আগের মিশ্রণ সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে যায়।
এ বার কুকারে ধরবে এমন মাপের টিফিন বক্স নিয়ে সেটির ভিতরের অংশে সাদা তেল/ঘি মাখিয়ে এক চামচ করে চিনি ছড়িয়ে গ্যাসে বসিয়ে দিন। চিনি পুড়ে উঠলে নামিয়ে ঠান্ডা হলে ওই দুধের মিশ্রণ ঢেলে দিন। কৌটোর ঢাকা বন্ধ করে প্রেশার কুকারের ভিতর বসিয়ে দিন। ৫ থেকে ৬টা সিটি দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। তবে কুকারে কৌটোর উপর ভারী কিছু চাপা দিলে ভালো হয়। এর ফলে টিফিন বক্সের ভিতর জল ঢুকতে পারে না। চাইলে দুটো কৌটোও একসঙ্গে বসাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মোট ৭টা সিটি দিতে হবে।গোটা ব্যাপারটা কড়াই বা রোস্টার স্টিমারেও করা যায়। সে ক্ষেত্রে নীচে জল দিয়ে তার উপর কৌটো বসাতে হবে। যাতে কৌটো জলে পুরো ডুবে না সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রায় ২৫ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে কেটে পিস করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিতে পারেন। পরে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।