
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হস্টেলে ঢুকে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুনের অভিযোগ উঠেছে এক বহিরাগত যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে হস্টেল চত্বর। ওই যুবকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন এবং অভব্য আচরণ করেছে সে। এমনকি এক পিজিটি চিকিৎসককে জোর করে হাত ধরে টেনে লিফটের মধ্যেও ঢোকানোর চেষ্টা করে সে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে বউবাজার থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। লিফটে চড়ে সটান মহিলা হস্টেলের তিনতলায় উঠে আসে অভিযুক্ত যুবক পিন্টু রায়। এরপর সিঁড়ি দিয়েই চারতলায় ওঠে সে। সেই সময় করিডরে ছিলেন কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার এবং পিজিটি চিকিৎসক। সেখানে আচমকাই হস্তমৈথুন করতে শুরু করে ওই যুবক। ব্যাপারটা নজরে আসতেই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন সকলে। হস্টেলের মহিলা ডাক্তারদের অভিযোগ চিৎকার শুনে সেই সময় চার তলার লিফটের কাছে দাঁড়ানো এক পিজিটি চিকিৎসককে জোর করে লিফটের ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করে ওই যুবক।
মহিলা হস্টেল থেকে চিৎকার শুনে ছুটে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর বউবাজার থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যুবককে। গোটা ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হস্টেলে। কেন ওই যুবক এমন অশালীন আচরণ করেছে তা জানার চেষ্টায় তদন্তে নেমেছে পুলিশকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশকর্তারা।
এদিকে আচমকা এ হেন ঘটনায় মহিলা হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিরাপত্তাকর্মীরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই যুবক লিফটে করে হস্টেলের উপর উঠে গেল তাই নিয়েই সংশয় জেগেছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-চিকিৎসক সকলের মনে। এই ঘটনায় হতবাক এবং ক্ষুব্ধ হাসপাতালের আধিকারিকরাও। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হস্টেলের আবাসিকরা। নিরাপত্তার ব্যাপারে তাঁদের গা-ছাড়া মনোভাব নিয়েও সরব হয়েছেন হস্টেলের একাংশ। এমনকি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজর রেসিডেন্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনর তরফে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এবং মহিলা হস্টেলের নিরাপত্তা সুদৃঢ় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।