কংগ্রেসে বড় রদবদল করলেন সনিয়া, গুলাম নবিদের সরালেন, বাংলার দায়িত্ব জিতিন প্রসাদকে

ব্যুরো: মাস খানেক আগে দলের মধ্যে থেকেই বিদ্রোহের মুখে পড়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। উথাল পাথাল হয়েছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। সাংগঠনিক ভাবে অস্থির সেই কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় শুক্রবার সর্বভারতীয় সংগঠনে বড় রদবদল করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।

সনিয়ার এই রদবদলে বাংলার জন্যও খবর রয়েছে। তা হল, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র গৌরব গগৈয়ের পরিবর্তে বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জিতিন প্রসাদকে।

কী পরিবর্তন হল এআইসিসিতে?

কংগ্রেস সভাপতি বা সভানেত্রীর পর দলীয় সংগঠনের মূল দায়িত্ব থাকে সাধারণ সম্পাদকদের উপর। সেখানেই বৃদ্ধতন্ত্রের ভার কমালেন সনিয়া। গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খার্গে, অম্বিকা সোনি, মতিলাল ভোরা, লুইজিনো ফালেরিওর মতো বর্ষীয়াণদের সরিয়ে তুলনায় নবীনদের তুলে আনলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। নতুন সাধারণ সম্পাদক হলেন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, জীতেন্দ্র সিংহ এবং অজয় মাকেন।

বলে রাখা ভাল, কংগ্রেসের সর্বশেষ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে সনিয়া আপাতত অন্তর্বতী সভানেত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ৬ মাসের মধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হবে। শুক্রবার কংগ্রেসের নতুন যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে দুটি বিষয় পরিষ্কার—এক, হতে পারে দলের চাপে রাহুল গান্ধীই সভাপতি হবেন। অথবা দুই, রাহুল সভাপতি না হলেও তাঁর আস্থাভাজন কেউ সেই দায়িত্ব পাবেন। কারণ, যাঁদের নতুন সাধারণ সম্পাদক করা হল এবং যাঁরা এখনও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়ে গেলেন তাঁরা সবাই ‘রাহুলেরই লোক’।

বাংলার দায়িত্ব জিতিনকে, কে তিনি?

উত্তরপ্রদেশের দুঁদে কংগ্রেস নেতা জীতেন্দ্র প্রসাদের ছেলে হলেন জিতিন। ২০০১ সালে মাত্র ৬২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় জীতেন্দ্র প্রসাদের। দুই কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও নরসিংহ রাওয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

জীতেন্দ্র প্রসাদের ছেলে জিতিন ২০০৪ সালে প্রথম বার উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে যেতেন। মনমোহন জমানায় কেন্দ্রে পেট্রোলিয়াম ও পরিবহণ দফতরের প্রতি মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য জিতিন।