
ৰেঙ্গলওয়াজ ব্যুরো : লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো দরপত্রে জানিয়েছিল, ৮৬৫ কোটি টকায় সংসদ ভবন তৈরি করে দিতে পারবে। অন্যদিকে টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড জানিয়েছিল, তারা নেবে ৮৬১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। নতুন সংসদ ভবন তৈরির জন্য বিভিন্ন সংস্থার থেকে দরপত্র আহ্বান করেছিল সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট। এদিন দরপত্রগুলি খোলা হয়। লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোকে হারিয়ে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের বরাত পায় টাটা। আশা করা হচ্ছে, এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
নতুন সংসদ ভবনটি হবে ত্রিকোণাকৃতি। বর্তমান সংসদ ভবনের কাছেই তা তৈরি হবে। সরকার জানিয়েছে, পার্লামেন্ট হাউস এস্টেটের প্লট নাম্বার ১১৮-তে নতুন ভবনটি গড়ে উঠবে। বর্তমান সংসদ ভবনটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। তাঁর আকৃতি গোলাকার। ভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভবনগুলির মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন অন্যতম। এই ভবনটি মেরামত করা হবে। তারপর তা ব্যবহৃত হবে অন্য কাজে।
১৯২১ সালে বর্তমান পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তা সম্পূর্ণ হতে লাগে ছ’বছর। ১৯৫৬ সালে তাতে দু’টি তলা নির্মাণ করা হয়।
কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্টা বিউটিফিকেশন প্রজেক্টের অধীনে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হবে। ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, তার আগেই তৈরি হয়ে যাবে নতুন সংসদ ভবন। সেই সঙ্গে বিজয় চক থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত যে সেন্ট্রাল ভিস্টা-তার চালচিত্রও বদলে ফেলা হবে। সরকারি সচিবালয়ের সমস্ত মন্ত্রক ও অফিস নিয়ে আসা হবে এক ছাদের তলায়। নতুন সংসদ ভবন ও কেন্দ্রীয় সচিবালয় মিলিয়ে এমন এক সেন্ট্রাল ভিস্টা তৈরি হবে যার ঐতিহ্য আগামী দেড়শ-দু’শ বছর পর্যন্ত থেকে যাবে।
লুটিয়েন দিল্লির কম বেশি ৪৭ টা ভবনে কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রকগুলি রয়েছে। তাতে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী অফিসার কাজ করেন। এতটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় অনেক সময়েই অসুবিধা হয় বলে কারও কারও অভিযোগ। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, সে কারণেই পুরো সচিবালয় এক ছাতার তলায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন সচিবালয় হবে একটা ছোটখাটো স্মার্ট সিটির মতো। আধুনিক সব ব্যবস্থাই থাকবে সেখানে।