আমি কয়েকমাস ধরে যা বলে আসছি, এতদিনে স্বীকার করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, দাবি রাহুলের

বুধবার সকালে দেশের অর্থনীতি নিয়ে ফের মোদী সরকারের একদফা সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, করোনা অতিমহামারীর জন্য সংকুচিত হবে দেশের অর্থনীতি। সেকথা উল্লেখ করে রাহুল এদিন টুইট করেন।

তিনি বলেন, মিডিয়া যদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চায়, তার ফল গরিবের পক্ষে ভাল হবে না। মিডিয়া যদি অর্থনৈতিক সংকটের কথা না লেখে, তা হলেই সেই সংকট শূন্যে মিলিয়ে যাবে না। আমি গত কয়েক মাস ধরে যা বলে আসছি, এবার সেকথাই স্বীকার করে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থনীতি সংকুচিত হবে। তার কারণ তিনটি। করোনা অতিমহামারী দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হয়েছে। বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও দেখা গিয়েছে অস্থিতিশীলতা। ২০০টি দেশে অতিমহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ হয়ে পড়েছে স্তব্ধ। সেজন্য আমাদের দেশেও বিকাশের হার কমবে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, কোভিড ১৯ অতিমহামারীর ফলে ব্যাঙ্কনোটের সরবরাহ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২০১৯-২০ সালে ব্যাঙ্কনোটের সরবরাহ ছিল তার আগের বছরের তুলনায় ২৩.৩ শতাংশ কম। কোভিড অতিমহামারী ও লকডাউনের ফলে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছিল।

আর কিছুদিনের মধ্যেই ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ভারতে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। তার আগেই রিপোর্ট পেশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেরলের ওয়ানাড় থেকে নির্বাচিত সাংসদ রাহুল এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোভিড সংকট যথাযথভাবে সামলাতে পারেনি মোদী সরকার। তার ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতি।

বিজেপি অবশ্য রাহুলের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে। দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা রাহুল সম্পর্কে বলেন, তিনি চরম অযোগ্য ও হেরে যাওয়া রাজনীতিক। নাড্ডার অভিযোগ, তিনি পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছেন। করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য ওই ফান্ড তৈরি করা হয়েছে।

নাড্ডা টুইট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ওপরে সারা দেশের আস্থা রয়েছে। পিএম কেয়ারস ফান্ডে অর্থ দান করে মানুষ সেই আস্থারই প্রমাণ দিয়েছেন।” রাহুলকে সম্বোধন করে নাড্ডা লেখেন, “আপনি হেরে যাওয়া মানুষ। সারা দেশ যখন কোভিড মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ছে, আপনি সেই সময় মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছেন।”