আনন্দপুর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডে গ্রেফতার

প্রতিনিধি : আনন্দপুরে তরুণীকে যৌন হেনস্থা ও উদ্ধারকারী এক মহিলার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনার মূল.অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম অভিষেক.কুমার পাণ্ডে।

শনিবার বেশি রাতের ওই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ৬৫ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে অভিষেক।

শনিবার রাতে আনন্দপুরে মায়ের কাছে গিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী ও মেয়ে। মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করে রাত ১২টা নাগাদ সেখান থেকে ফেরার সময়েই ঘটে বিপত্তি। নিজেদের গাড়িতে কিছুদূর এগিয়েই তাঁরা বুঝতে পারেন, পিছনের একটি হন্ডা সিটি থেকে কোনও মেয়ের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। এটা শুনে স্বামীকে তাঁদের গাড়িতে করে পিছনের গাড়িটির পথ আটকাতে বলেন নীলাঞ্জনা।

পিছনের গাড়িটির পথ আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে হন্ডা সিটি থেকে এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তরুণীর জামা-কাপড় অনেক জায়গায় ছেঁড়া ছিল ও তাঁর চোখে-মুখে মারধরের চিহ্নও ছিল বলে পুলিশকে জানানো হয়। গাড়ি থেকে নেমে তরুণীকে তোলার চেষ্টা করেন নীলাঞ্জনা। এমন সময় হন্ডা সিটির চালক প্রবল গতিতে গাড়িটিকে ব্যাক গিয়ারে এনে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নীলাঞ্জনার ডান পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় গাড়িটি। মাথাতেও সামান্য চোট লাগে তাঁর।

নীলাঞ্জনার স্বামী বলেন, ঠিক সময়ে মাথা না সরিয়ে নিলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। রাস্তার উপরেই পড়ে যান নীলাঞ্জনা। এদিকে ওই তরুণীও আহত ছিলেন। বাধ্য হয়ে সাহায্যের জন্য তিনি ১০০ ডায়াল করেন। কসবা ট্রাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে পোঁছন। তিনিই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। তাতে করে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নীলাঞ্জনাকে।

ওই ঘটনায় রাতের কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে যায়। জানা যায়, নির্যাতিতা তরুণী জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। এখন নয়াবাদ এলাকায় থাকেন।