অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হোক, সনিয়াকে চিঠি লিখলেন মান্নান

প্রতিনিধি : সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদটি শূন্যই পড়ে রয়েছে। এখনও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সেখানে কাউকে মনোনীত করেনি। এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ অগস্ট কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। তাতে তিনি বলেছেন, একুশের ভোট এগিয়ে আসছে। বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাস্ত করতে এবং বামেদের সঙ্গে জোট অটুট রাখতে অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক।

মান্নান ওই চিঠিতে আরও বলেছেন, “যাঁর জনসমর্থন রয়েছে, এমন নেতাকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরীই হবেন যোগ্য নেতা।” অধীরবাবু এখন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা। সনিয়াকে লেখা চিঠিতে মান্নান অনরোধ করেছেন, যাতে অধীরবাবুকে লোকসভায় কংগ্রেস নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি—দুটি দায়িত্ব পালনেরই অনুমতি দেওয়া হয়।

মান্নানের এই চিঠির কারণ কী?

কংগ্রেস সূত্রের খবর, একটি অংশ চাইছে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ সভাপতি করতে। অনেকের এও বক্তব্য, প্রদীপবাবু নিজেও নাকি প্রদেশ সভাপতি হতে চান। সে কারণে নাকি তিনি দিল্লিতে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। আর মান্নানরা চাইছেন সেটাকেই আটকাতে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রদীপ ভট্টাচার্য তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। ফলে তিনি সভাপতি হলে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে তৎপর হতে পারেন বলে আশঙ্কা অনেক নেতার। সেকারণেই তাঁরা চাইছেন প্রদীপকে আটকাতে।

সূত্রের আরও খবর, মান্নানের এই চিঠি পাওয়ার পর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এআইসিসির তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। কিন্তু অধীরবাবু নাকি গৌরবকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রদেশ সভাপতি হতে চান না। এও জানা গিয়েছে, অধীরবাবু গৌরব গগৈকে বিকল্প দুটি নামও বলেছেন। তাঁরা হলেন এক, বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী এবং দুই, পুরুলিয়ার নেপাল মাহাতো।

অধীরবাবু এখন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা। অনেকের মতে, তিনি জানেন এখন বাংলার সভাপতি হয়ে বিশেষ কিছু করতে পারবেন না। কারণ, এই রাজ্যে কংগ্রেসের সেই সাংগঠনিক শক্তি নেই। তাই তিনি হয়তো একুশের ভোটে শুধু মুর্শিদাবাদেই ফোকাসড থাকবেন। যদিও মান্নান অনুরোধ করেছেন, তাঁকে যাতে যৌথ দায়িত্ব পালন করতে অনুমতি দেওয়া হয়। এখন দেখার কবে সোমেনের শূন্য পদে নেতা নিযুক্ত করে কংগ্রেস। কাকেই বা বসানো হয় সেখানে।